শেষ আপডেট: 4th October 2024 09:32
দ্য ওয়াল ব্যুরো: পুজোর মধ্যে জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের গতিপ্রকৃতি কী হবে? আদৌ কি কর্মবিরতি চলবে? এইসব প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছিল সকলের মনে। বৃহস্পতিবার রাত ৮টার কিছু পর জিবি বৈঠকে বসেছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত অর্থাৎ প্রায় ১২ ঘণ্টার এই বৈঠক শেষে পূর্ণ কর্মবিরতি থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
শুক্রবার একটি প্রতিবাদ মিছিলের ডাক দিতে পারে জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্ট। সেই মিছিল শেষেই এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা হতে পারে। সূত্র মারফৎ জানা গেছে, রাজ্য সরকারকে তাঁদের দাবি পূরণের জন্য পদক্ষেপ নেওয়ার ক্ষেত্রে সময়সীমা বেঁধে পারেন আন্দোলনকারীরা। তা পূরণ না হলে আগামী দিনে আন্দোলনকে আরও জোরদার করতে অনশনের পথে হাঁটতে পারেন জুনিয়র ডাক্তাররা।
মহালয়ার রাতে শহর এবং জেলায় পুজোর মণ্ডপে ব্যাপক ভিড় দেখা গেছিল। তারপর থেকেই অনেকের মনে হয়েছিল পুজোর মধ্যে জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন কতটা প্রভাব ফেলবে। মহালয়ার দুপুর থেকে পরিস্থিতি বদলাতে শুরু করেছে। মূলত মহালয়ার সন্ধে থেকেই প্রতিমা দর্শনে পথে নেমেছে জনতা! বিষয়টি টের পেয়েছেন আন্দোলনরত চিকিৎসকরাও। তাই পরিবর্তিত পরিস্থিতি নিয়ে চিন্তিত আন্দোলনরতরা। মানুষ পাশে না থাকলে যে আন্দোলন বেশি দূর এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যাবে না, তা বুঝতে পারছেন তাঁরাও।
এরপরই সিনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে আলোচনা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সূত্রের খবর, জুনিয়র ডাক্তারদের একাংশ কর্মবিরতি তুলতে চান। কর্মবিরতি তুলতে চাপ দিচ্ছেন সিনিয়র ডাক্তারদের একাংশও। সেক্ষেত্রে পূর্ণ কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত থেকে জুনিয়র ডাক্তাররা সরে এসে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার অন্য কী সিদ্ধান্ত নেন সেটা দেখার বিষয়।
এতদিন সাধারণ মানুষের পূর্ণ সহায়তা পেয়ে এসেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তাঁরা যখনই যেখানে অবস্থান করেছেন, সেখানে আমজনতার উপস্থিতিও লক্ষ্য করা গেছে। কিন্তু পুজোর মধ্যে সাধারণ মানুষের কতজন আন্দোলন নিয়ে এত স্বতঃস্ফূর্ত থাকবেন তা নিয়ে ধন্দ রয়েছে। একই সঙ্গে, পুজোর রাত দখলের মতো কোনও কর্মসূচি কতটা সফল হবে তা নিয়েও সন্দেহ। সেই প্রেক্ষিতে আন্দোলন কী ভাবে এগিয়ে যান জুনিয়র ডাক্তাররা, সেই দিকে সকলের নজর।
পুজোর মধ্যে আন্দোলন চললে চিকিৎসা পরিষেবা বিঘ্নিত হবে কিনা সে নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। কারণ এই সময়ে অনেক সিনিয়র ডাক্তাররা ঘুরতে যান। তাই অনেক হাসপাতাল জুনিয়র ডাক্তারদের ওপরই নির্ভর করে পুজোর সময়টাই। তাই ওই সময় আন্দোলন করলে সাধারণ মানুষের অসুবিধা হওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হতেই পারে। এই বিষয়টি মাথায় রেখেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে সম্ভাবনা।