শেষ আপডেট: 8th October 2024 18:20
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে ধর্মতলায় অনশন করছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তাঁদেরই সমর্থনে মঙ্গলবার গণ ইস্তফা দিয়েছেন আরজি করের সিনিয়ররা! ৫০ জন সিনিয়র ডাক্তারের এই সিদ্ধান্তে রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় বড় প্রভাব পড়বে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে সিনিয়ররা যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাকে স্যালুট জানিয়ে তাঁদের 'গার্ড অফ অনার' দিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা।
প্রায় দু'মাস হয়ে গেল আরজি করে তরুণী চিকিৎসকের নৃশংস ধর্ষণ ও খুনের। প্রতিবাদ ও বিক্ষোভের আঁচ সেই যে জ্বলে উঠেছে, তা এতদিনে স্তিমিত হওয়ার বদলে বরং বারবার তীব্রতর হয়ে উঠেছে। ডাক্তারদের আন্দোলনের গতিও বাড়ছে ধাপে ধাপে। মিছিল, বৈঠক, অবস্থান - এসবের পরে শুরু হয়েছে আমরণ অনশন। এই ধর্মতলায় অনশনে রয়েছেন ৭ জন জুনিয়র ডাক্তার। অন্যদিকে, সিনিয়র চিকিৎসকদের ১২ ঘণ্টার প্রতীকী অনশনও চলছে।
মঙ্গলবার সকালে যে ঘটনা ঘটেছে তা কার্যত নাটকীয় বলা চলে। আরজি কর হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগীয় প্রধানের পদ থেকে একের পর এক ইস্তফা দিয়েছেন সিনিয়র ডাক্তাররা। তাঁদের বক্তব্য ছিল, বর্তমানে যে পরিস্থিতি চলছে তাতে রোগী পরিষেবা দেওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। তাঁরা চান, জুনিয়র ডাক্তারদের দাবিগুলি যত দ্রুত সম্ভব মানা হোক। রাজ্য সরকার তাড়াতাড়ি এই সমস্যার সমাধান করুক। এরপরই প্রতিবাদী জুনিয়র ডাক্তারদের অন্যতম কিঞ্জল নন্দ একটি ভিডিও পোস্ট করেন। তাতে দেখা যায়, গণইস্তফা দেওয়া পর বেরিয়ে 'গার্ড অফ অনার' পাচ্ছেন সিনিয়র ডাক্তাররা।
সোমবারই নবান্ন থেকে রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ সাংবাদিক বৈঠক করে জুনিয়র ডাক্তারদের অনশন ভাঙার বার্তা দিয়েছিলেন। জানিয়েছিলেন, ৪৫ শতাংশের বেশি সিসিটিভির কাজ হয়ে গেছে। এছাড়া ওয়াশরুম সংক্রান্ত ৬৫ শতাংশ কাজ এগিয়ে গেছে। আগামী ১০ অক্টোবরের মধ্যে ৯০ শতাংশ কাজ হয়ে যাবে বলে আশ্বাসও দিয়েছেন। তবে অনশন মঞ্চ থেকে আন্দোলনকারীরা সাফ জানান, আরজি করের নির্যাতিতার বিচারের পাশাপাশি কলেজে কলেজে ভর্তিতে দুর্নীতি, থ্রেট কালচার-সব ধরনের বেনিয়ম বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত তাঁদের এই আন্দোলন চলবে।