শেষ আপডেট: 15th August 2024 22:50
দ্য ওয়াল ব্যুরো: যার বিয়ে তার ঠিক নেই, পাড়া পড়শির ঘুম নেই! বহুল ব্যবহারে জীর্ণ এই প্রবাদই যেন ফিরে এল আরজি কর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ভূমিকায়।
পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, বুধবার মধ্যরাতে আরজি কর হাসপাতালে দুষ্কৃতী তাণ্ডবের ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাত ৯টটা পর্যন্ত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষর তরফে পুলিশে কোনও অভিযোগই জানানো হয়নি। বরং ওই ঘটনায় উল্টোডাঙা, শ্যামপুকুর এবং টালা থানা তিনটি পৃথক সুয়োমোটো মামলা দায়ের করে। ওই তিনটি মামলায় পুলিশ একাধিক জনকে গ্রেফতারও করে। বৃহস্পতিবার ধৃতদের আদালতে হাজির করিয়ে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।
তবে গোটা ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষর ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। যদিও এব্যাপারে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষর কোনও প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি। হাসপাতালেরই একটি সূত্রের দাবি, পুলিশ যেহেতু নিজে থেকেই সুয়োমোটো মামলা দায়ের করেছে তাই আলাদা করে কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। ঘটনার জন্য পরিবর্তিত অশান্তির পরিবেশের কথাও সামনে আনছে হাসপাতালের সংশ্লিষ্ট সূত্র।
আরজি করে ছাত্রীকে নৃশংসভাবে হত্যার প্রতিবাদে স্বাধীনতার মধ্যরাতে রাত দখল করে পথে নেমেছিলেন মহিলারা। রাজ্যজুড়েই আন্দোলনে নেমেছিল নাগরিক সমাজ। মহিলাদের পাশাপাশি পুরুষরাও এই প্রতিবাদ কর্মসূচিতে অংশ নেন। ওই কর্মসূচির মধ্যেই বুধবার রাতে আরজি করের সামনে একদল বহিরাগত লাঠি, রড নিয়ে হামলা করে। আন্দোলনকারীদের মঞ্চ ভেঙে ফেলার পাশাপাশি হাসপাতালের এর্মাজেন্সি-সহ একাধিক বিভাগে হামলাকারীরা তাণ্ডব চালায়। সূত্রের খবর, মোট ১৮টি বিভাগ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এভাবে সরকারি হাসপাতালে হামলার ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে কলকাতার পুলিশ কমিশনারও। তবে আরজি কর কর্তৃপক্ষ কেন এঘটনায় থানায় কোনও অভিযোগ দায়ের করলেন না তা নিয়ে বিভিন্ন মহল থেকে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে। বিষয়টি জেনে হতবাক আন্দোলনকারীরাও।
তাঁদের কথায়, "হামলার সময় পুলিশ পালিয়ে গেল। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও থানায় কোনও অভিযোগ দায়ের করল না। আমাদের সুরক্ষার অবস্থাটা তাহলে কোন জায়গায় দাঁড়িয়ে? আমরা কি জঙ্গি? ৬দিন না খেয়ে সহপাঠীর বিচার চাইছি। এটাই কি আমাদের অপরাধ! ৩৬ ঘণ্টা ডিউটি দেওয়ার পর একজন মহিলা ডাক্তারকে রেপ হতে হয়, তারপরও কর্তৃপক্ষ যে এ ব্যাপারে কতখানি উদাসীন তা তো এঘটনা থেকেই স্পষ্ট।"