আরজি কর হাসপাতালের নার্সিং সুপারিন্টেন্ডেন্ট কৃষ্ণা সাহা।
শেষ আপডেট: 14th August 2024 15:39
দ্য ওয়াল ব্যুরো: সেমিনার হলের একদম কাছেই নার্সিং স্টেশন। সেখানে রাতভর ডিউটিতে থাকেন সিস্টার ইনচার্জ। তাঁর কাছেই থাকে সেমিনার হলের চাবি। সেই অভিশপ্ত রাতেও তাই ছিল। তাঁর কাছ থেকে চাবি নিয়ে গিয়েই খোলা হয়েছিল সেমিনার হল। চলছিল সকলের ডিউটিও। চারটি ওয়ার্ডে চারজন নার্স কর্মরত ছিলেন। তার পরেও সে রাতে কিছুই টের পেলেন না কেউ! এমনটাই দাবি করলেন আরজি কর হাসপাতালের নার্সিং সুপারিন্টেন্ডেন্ট কৃষ্ণা সাহা।
এদিন তিনি বলেন, মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধিরা হাসপাতালে এসে সেই রাতের উপস্থিতি যাচাই করছেন। তাই তিনি তাঁদের নার্সিং স্টাফদের উপস্থিতির বিবরণও জানিয়েছেন। চারটি ওয়ার্ডে চারজন ডিউটিতে ছিলেন বলে জানান তিনি।
কৃষ্ণা সাহা সাংবাদিকদের আরও বলেন, 'নার্সিং স্টেশনের কাছে একটা বাক্সে থাকে সেমিনার হলের চাবি। ওটা ডাক্তারদেরই ঘর। ওখানে ডাক্তাররা পড়াশোনা করেন। যাঁর যেমন দরকার, নার্সিং ইনচার্জকে বলে চাবি নিয়ে যান আবার ফেরত দিয়ে যান নিয়মিত। রাতেও অনেকেই চাবি নিয়ে গিয়ে পড়াশোনা করেন সেমিনার হলে।' ডাক্তার ছাড়া অন্য কারও পক্ষে চাবি নেওয়া সম্ভব নয় বলেই জানান তিনি। আরও জানান, সেমিনার হলের আশপাশে কোনও নিরাপত্তা কর্মী থাকেন না। থাকেন লিফ্টের কাছে।
তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, ডিউটিরত চারজন নার্স সেই রাতে কিছু জানতে পেরেছিলেন কিন। কৃষ্ণা সাহা উত্তর দেন, 'নার্সদের সারারাত স্যালাইন বদল করা, ওষুধ দেওয়া, ইঞ্জেকশন দেওয়া-- এসব এত কাজ থাকে, তাঁরা নার্সিং স্টেশনে থাকতেই পারেন না প্রায়। ফলে তাঁদের পক্ষে কিছু জানা সম্ভব নয়।'
নার্সিং সুপারিন্টেন্ডেন্ট কৃষ্ণা সাহাকে বলা হয়, সেমিনার হলের খুব কাছেই তো নার্সিং স্টেশন। সেক্ষেত্রে রাতভর ডিউটিতে থাকা নার্সিং ইনচার্জ বা নার্সদের কিছুই টের না পাওয়া খানিকটা অস্বাভাবিক। তিনি উত্তরে বলেন, 'সেমিনার হলের দিকটায় কোনও ওয়ার্ড নেই। তাই ওদিকে নার্সদের যাওয়ারই প্রয়োজন পড়ে না। ফলে ওই রাতেও সেদিকে কেউ যাননি, কেউ কিছু জানতে পারেননি। সকালেও ওঁরা কেউ কিছু দেখেননি। ওই সেমিনার হল বিশেষ প্রোগ্রাম ছাড়া ব্যবহারও করেন না নার্সরা।'
কৃষ্ণা সাহা দাবি করেন, 'শুক্রবার সকাল ১০টা নাগাদ সিস্টার ইনচার্জ আমায় ফোন করে জানান ঘটনার কথা। তাঁকে সম্ভবত বলেছেন, গ্রুপ ডি স্টাফ, যিনি সেমিনার হল পরিষ্কার করতে গেছিলেন। আমি খবর পেয়েই নার্সদের পাঠিয়ে দিয়েছিলাম ওখানে। তখন সেখানে কেবল চেস্ট ডিপার্টমেন্টের ডাক্তারবাবুরা ছিলেন।'