শেষ আপডেট: 14th August 2024 22:41
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আরজি করের তরুণী চিকিৎসক আত্মহত্যা করেছেন-- এরকম কোনও খবর কলকাতা পুলিশের তরফে জানানো হয়নি মৃতার পরিবারকে এবং মৃতা চিকিৎসকের দেহ পুলিশ মোটেও তড়িঘড়ি করে সৎকার করেনি। এই দু'টি তথ্য এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে স্পষ্ট জানিয়ে দিল কলকাতা পুলিশ। এর আগেও আরজি কর তদন্তের নানা বিষয় নিয়ে পুলিশ সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেদের অবস্থান জানিয়েছে। অনেকেই বলছেন, অন্য কোনও তদন্তে জনগণকে এত 'সাফাই' দেওয়ার প্রয়োজন হয় না পুলিশের।
এদিন বিকেলে কলকাতা পুলিশের তরফে এক্স হ্যান্ডেলের একটি পোস্ট শেয়ার করা হয়। তাতে জনৈক নেটিজেন চারটি প্রশ্ন তুলেছেন। সেগুলি হল, ১) পুলিশ কেন মৃতার পরিবারকে জানিয়েছিল, মেয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে? ২) কেন এত তাড়াহুড়ো করে দেহ সৎকার করে দিল পুলিশ? ৩) কেন সন্দীপ ঘোষের পদত্যাগের পরে ফের তড়িঘড়ি পদে বসানো হল তাঁকে? ৪) কেন হঠাৎ করে আরজি করে ভাঙাভাঙির কাজ শুরু হল?
এই পোস্টটি শেয়ার করে, প্রথম দু'টি প্রশ্নের উত্তর দিয়েছে কলকাতা পুলিশ। জানিয়েছে, নিহত চিকিৎসকের পরিবারের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, মেয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে তাঁরা যে ফোন পেয়েছিলেন, তা কলকাতা পুলিশের তরফে নয়। এবং মেয়েটির দেহ কলকাতা পুলিশ সৎকার করেনি, করেছে তার পরিবারই।
Since points 1 & 2 concern Kolkata Police, we wish to clarify:
— Kolkata Police (@KolkataPolice) August 14, 2024
1. Reports of KP informing the family about a possible suicide are false. The family confirmed the call did not come from KP
2. KP didn’t cremate the body of deceased. It was her family who cremated her. https://t.co/ktoVv8scjZ
গতকালই ফেসবুকে কলকাতা পুলিশের তরফে দীর্ঘ পোস্ট করে বলা হয়েছিল, 'আর.জি. কর হাসপাতালের ছাত্রীর সাম্প্রতিক মর্মান্তিক মৃত্যুর মামলার তদন্তে আদ্যন্ত পেশাদারিত্ব এবং সর্বোচ্চ দক্ষতার সঙ্গে কাজ করেছে কলকাতা পুলিশ, যার ফলে চার দিনেরও কম সময়ে মামলাটির তদন্ত করা সম্ভব হয়েছে। মাননীয় হাইকোর্টের আদেশে আমরা এখন মামলার সমস্ত নথি সিবিআই-এর কাছে হস্তান্তর করেছি। মৃতার পরিবার যাতে ন্যায়বিচার পান, তা নিশ্চিত করতে আমরা কেন্দ্রীয় সংস্থাকে সবরকম সহায়তা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।'
সেই সঙ্গে আরও বলা হয়েছিল, 'মৃতার পরিবারকে পুলিশের তরফে যোগাযোগ করে আত্মহননের কথা বলা হয়েছে, এই মর্মে যে প্রচার চলেছে গত কয়েকদিন ধরে, তা সম্পূর্ণ অসত্য। ফোন যে পুলিশের পক্ষ থেকে করা হয়নি, তা জানিয়েছেন শোকসন্তপ্ত পরিবারই।' এর পরে সেই একই কথা জানানো হল এক্স হ্যান্ডেলে।
এছাড়াও কলকাতা পুলিশ বারবারই সতর্ক করেছে এই তদন্ত বিষয়ক কোনও গুজবে কান দিয়ে কেউ যেন প্ররোচনার শিকার না হন।