শেষ আপডেট: 14th August 2024 14:40
দ্য ওয়াল ব্যুরো: প্রতিবাদ আন্দোলন এখনও চলছে লাগাতার। বন্ধ রোগী পরিষেবা। এখনও পর্যন্ত তরুণী চিকিৎসক খুনের তদন্তে কোনও নতুন আপডেট সামনে আসেনি, আসেনি কোনও খবরও। এমনই পরিস্থিতিতে, 'সিচুয়েশন জানতে' আরজি কর হাসপাতালে এসে ঘুরে গেলেন স্বাস্থ্য-শিক্ষা অধিকর্তা কৌস্তভ নায়েক। দাবি করলেন, 'আন্দোলনকারীদের দাবি মানা হচ্ছে।'
তবে ঘটনার দিন কী হয়েছিল, সেমিনার রুমে কখন কে কে গিয়েছিল, সেই নিয়ে কিছু জানেন না বলেই দাবি করলেন তিনি। বললেন, 'সেমিনার রুম বন্ধ ছিল কিনা, সে বিষয়ে কোনও কথা বলিনি।'
কর্মবিরতি প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য-শিক্ষা অধিকর্তা বলেন, 'দু-এক জায়গায় আউটডোর বন্ধ। এমার্জেন্সিতে ডাক্তাররা দেখছেন, কাজ চলছে সব জায়গাতেই।' তিনি জানান, স্বাস্থ্যভবনে যে কোনও সময়ে আলোচনা হতে পারে জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে। তাঁর কথায়, 'আলোচনা সবসময় হতে পারে। ওদের বলব, এবার কাজে জয়েন করাই ভাল। ওদের দাবি সবই বুঝছি, মানাও হচ্ছে। অনেকটা হয়েই গেছে। ওরা এবার কাজে ফিরুক।'
এদিন অধিকর্তা আরও দাবি করেন, আরজি কর হাসপাতালে যেখানে ধর্ষণ-খুন ঘটেছে, অর্থাৎ সেমিনার হল, সেটি ভেঙে ফেলা নিয়ে যে অভিযোগ উঠেছে, তা সত্য নয়। তিনি বলেন, 'সেমিনার হল ভাঙা হয়নি। ওটার পাশে ভাঙা হচ্ছে।'
কিন্তু এত তাড়াতাড়ি সেমিনার হলের আশপাশে ভাঙাভাঙি করার কী দরকার ছিল, সেই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, 'ওরা (জুনিয়র ডাক্তাররা) রেস্টরুম চেয়েছিল, সেটা তাড়াতাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করছি আমরা। তবে এখন ভাঙাচোরা বন্ধ আছে।'
অন্যদিকে, বুধবার সকালেই দিল্লি থেকে কলকাতায় এসেছে সিবিআইয়ের একটি বিশেষ দল। তারা কলকাতা পুলিশের থেকে এই মামলা সংক্রান্ত বাকি নথি সংগ্রহ করেছে এবং একাধিক দলে ভাগ হয়ে তদন্ত শুরু করেছে। মূল অভিযুক্ত সিভিক ভলেন্টিয়ার সঞ্জয় রায়কেও হেফাজতে নিয়ে নিয়েছে সিবিআই। বুধবার সকালেই তাঁকে কেন্দ্রীয় সংস্থার হাতে তুলে দেয় কলকাতা পুলিশ।
দিল্লি থেকে সিবিআই-এর দলের সঙ্গে এসেছে আলাদা ফরেন্সিক দলও। সমস্ত নথিপত্র এবং সাক্ষীদের বয়ান কেন্দ্রীয় সংস্থাকে হস্তান্তর করে দিয়েছে পুলিশ। এরপরই মূল অভিযুক্ত হাতে পেয়ে তাকে মেডিক্যাল টেস্টের জন্য এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যায় সিবিআই। সব পরীক্ষা করার পর সিজিও কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়েছে সঞ্জয়কে। আরজি করে এদিনই যাবে সিবিআই আধিকারিকরা। যে সেমিনার রুমে ধর্ষণ-খুন হয়েছে তা খতিয়ে দেখার কথা তাঁদের। নমুনা সংগ্রহ করার পাশাপাশি আরজি করের ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গেও কথা বলবেন তাঁরা।