সিবিআই টিমের সঙ্গে রয়েছে ফরেন্সিক দলও।
শেষ আপডেট: 14th August 2024 16:11
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আরজি কর হাসপাতালে এসে পৌঁছল সিবিআই টিম। নমুনা সংগ্রহ করে, কথাবার্তা বলে, ঘটনাস্থলের খতিয়ান নেবেন টিমের সদস্যরা।
জানা গেছে, আরজি করের যে গেটে বিক্ষোভ চলছে, সেখান দিয়ে আজ ঢোকেনি সিবিআই। অন্য একটি যে গেট রয়েছে, সেই গেট দিয়ে ঢুকে সোজা এমার্জেন্সিতে যান সিবিআই আধিকারিকরা। তাঁদের মধ্যে ছিলেন কলকাতার এক অফিসারও। গোটা টিমের সঙ্গে রয়েছে ফরেন্সিক দলও। কেন্দ্রীয় বাহিনীও রয়েছে নিরাপত্তার জন্য।
এদিন আরজি করে ঢুকে সোজা চারতলায় পৌঁছে যায় সিবিআই টিম, নমুনা সংগ্রহ করার জন্য। ওই তলাতেই রয়েছে সেমিনার হল, যেখান থেকে শুক্রবার সকালে উদ্ধার হয় তরুণী ডাক্তারের ধর্ষিত দেহ।
আজ, বুধবার সকালেই দিল্লি থেকে কলকাতায় এসেছে সিবিআইয়ের একটি বিশেষ দল। তারা কলকাতা পুলিশের থেকে এই মামলা সংক্রান্ত বাকি নথি সংগ্রহ করেছে এবং একাধিক দলে ভাগ হয়ে তদন্ত শুরু করেছে। মূল অভিযুক্ত সিভিক ভলেন্টিয়ার সঞ্জয় রায়কেও হেফাজতে নিয়ে নিয়েছে সিবিআই। বুধবার সকালেই তাঁকে কেন্দ্রীয় সংস্থার হাতে তুলে দেয় কলকাতা পুলিশ।
দিল্লি থেকে সিবিআই-এর দলের সঙ্গে এসেছে আলাদা ফরেন্সিক দলও। সমস্ত নথিপত্র এবং সাক্ষীদের বয়ান কেন্দ্রীয় সংস্থাকে হস্তান্তর করে দিয়েছে পুলিশ। এরপরই মূল অভিযুক্ত হাতে পেয়ে তাকে মেডিক্যাল টেস্টের জন্য এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যায় সিবিআই। সব পরীক্ষা করার পর সিজিও কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়েছে সঞ্জয়কে। সিবিআই-এর একটি দল নির্যাতিতার বাড়িও গেছে, তাঁর পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে।
আরজি করে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুন মামলার তদন্তে কলকাতা পুলিশের ভূমিকায় আদালত যে সন্তুষ্ট নয়, তা গতকালই স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। আরজি করের এবং কলকাতা পুলিশের ভূমিকা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন ওঠে আদালতে। এরপরই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।
আদালত জানিয়েছে, তিন সপ্তাহের পর মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। ওই দিন আদালতে প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দিতে হবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে।
গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে আরজিকর হাসপাতালের চারতলার সেমিনার হলে নৃশংসভাবে খুন করা হয় মেডিক্যালের ছাত্রীকে। ওই মামলার শুনানিতে মঙ্গলবার আরজি কর মেডিক্যালের পাশাপাশি কলকাতা পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম। কাকে আড়াল করার চেষ্টা চলছে, তা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। কলকাতা পুলিশের কাছে ঘটনার কেস ডায়েরি ও তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে রিপোর্ট চায় হাইকোর্ট।
সূত্রের খবর, ওই রিপোর্ট দেখে স্তম্ভিত হয়ে যান প্রধান বিচারপতি। এরপরই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ জারি করে আদালত। সেই মোতাবেক, আজ বুধবারই এসে পৌঁছেছে সিবিআই টিম, কাজও শুরু করেছে পুরোদমে।