শেষ আপডেট: 20th January 2025 17:20
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আরজি কর কাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত সঞ্জয় রায়ের ফাঁসির সাজা হয়নি। তাঁকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা দিয়েছে শিয়ালদহ আদালত। পাশাপাশি তাঁকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। রাজ্য সরকারকেও বিচারক অনির্বাণ দাস নির্দেশ দিয়েছেন, নির্যাতিতার পরিবারকে ১৭ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। যদিও সেই টাকা নেবেন না বলে জানিয়েছেন নিহত চিকিৎসকের বাবা-মা। বরং সিবিআই তদন্ত নিয়ে আবার একবার ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তাঁরা।
সোমবার আরজি কর কাণ্ডে শিয়ালদহ কোর্টের নির্দেশ শোনার পর নির্যাতিতার বাবা-মা স্পষ্ট বলেন, ''সিবিআই প্রমাণ করতে পারেনি এটা বিরলের মধ্যে বিরলতম ঘটনা। তাই এই রায় দিয়েছে আদালত।'' একই সঙ্গে তাঁরা এও বলেন, কোনও ক্ষতিপূরণের টাকা তাঁদের চাই না। শুধু বিচার চান। আর সেটা তাঁরা পাননি। যদিও বিচারক তাঁদের উদ্দেশে বলেন, 'আপনি মনে করবেন না টাকা দিয়ে ক্ষতিপূরণের চেষ্টা করা হচ্ছে। আমাকে এমন বলা হলে আমিও তাই করতাম।'
গত শনিবার মামলার রায়দান করে সঞ্জয় রায়কে দোষী সাব্যস্ত করেছিল আদালত। এদিন সাজা ঘোষণার আগে প্রথা মাফিক সঞ্জয়ের বক্তব্য জানতে চাওয়া হয়। নিজেকে নির্দোষ বলে আজও দাবি করে ভাবলেশহীন সঞ্জয়। বলেন, ‘আমি কোনওটাই করিনি। আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। আগের দিনও বলেছি। আমি শুনেছি, অনেক কিছু নষ্ট করা হয়েছে। আমার গলায় রুদ্রাক্ষের মালা ছিল। আমাকে মারধর করা হয়েছে। যার যা ইচ্ছা করছে। যেখানে খুশি সই করিয়ে নিচ্ছে।’’
ওমনি সিবিআইয়ের আইনজীবী জোরালো সওয়ালে বলেন, সঞ্জয় যে অপরাধ করেছে, তা বিরলতম। তার সর্বোচ্চ সাজা হওয়া উচিত। দু’পক্ষের কথা শোনার পর সাজা ঘোষণার জন্য আরও কিছুটা সময় নেন বিচারক। তার পর বিকেল পৌনে তিনটে নাগাদ তা ঘোষণা করেন।
সাজা ঘোষণার আগেও নির্যাতিতার বাবা-মার বক্তব্য ছিল, সঠিক তদন্ত হলে অন্তত ৫০ জন এই ঘটনায় গ্রেফতার হয়। যারা তাঁদের মেয়ের সঙ্গে সেই রাতে শেষ পর্যন্ত ছিল, তারাও জড়িত থাকতে পারে। তাঁদের প্রশ্ন, ''আমার মেয়ে সেমিনার রুমে ঘুমাচ্ছে, ও কী করে জানল? কে পাঠাল ওকে? কিছুই বলেনি ও। আরও যারা জড়িত রয়েছে তারা তাহলে কি ছাড়া পেয়ে গেল?'' বাবা-মা জানাচ্ছেন, ঘটনার রাতে তাঁদের মেয়ের সঙ্গে চারজন ছিল। তদন্তেই তা উঠে এসেছে। তাহলে তাঁরা কিছুই জানে না, এটা হতে পারে না।