সঞ্জয় রায় এবং সেঁজুতি চক্রবর্তী
শেষ আপডেট: 20 January 2025 13:54
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আরজি কর কাণ্ডের সাজা ঘোষণা হয়েছে সোমবার। এদিনও দোষী সাব্যস্ত সঞ্জয় রায় নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেছে। আর সাজা ঘোষণার পর তাঁর আইনজীবী জানালেন, সঞ্জয়ের মুক্তি পেতে উচ্চ আদালতে যাবেন তাঁরা।
শিয়ালদহ আদালতের বিচারক অনির্বাণ দাস বলেছেন, এই ঘটনা বিরলের মধ্যে বিরলতম নয়। তাই ফাঁসির সাজা দেওয়া হয়নি। সর্বোচ্চ সাজার বিরোধিতায় সঞ্জয়ের আইনজীবীরও যুক্তি ছিল, মৃত্যুদণ্ডের বিকল্প কিছু আছে কিনা, তা সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে আলোচনা করে ঠিক করা যেতে পারে। রায় শোনার পরে অনেকেই ভাবছেন সঞ্জয়ের আইনজীবীর এই বক্তব্যেই সাড়া দিয়েছে আদালত।
সাজা ঘোষণার পর সঞ্জয় রায়ের আইনজীবী সেঁজুতি চক্রবর্তী বলেন, 'সুপ্রিম কোর্টেরও পর্যবেক্ষণ তখনই মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হবে যখন সেটা ছাড়া আরও কোনও শাস্তি দেওয়ার উপায় থাকবে না। জেলকে সংশোধনাগার বলা হয়। তাই যে কোনও সাব্যস্তের নিজেকে শুধরে নেওয়ার সুযোগ পাওয়াটা অধিকার।' এই ইস্যু নিয়ে আগামী দিন হাইকোর্টে যাওয়ার কথাও বলেছেন তিনি।
সোমবার প্রথম নয়, এর আগেও সঞ্জয় রায়কে বেকসুর খালাস করার আর্জি জানানো হয়েছিল তাঁর আইনজীবীর তরফে। গত ৯ জানুয়ারি এই সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে সঞ্জয়ের আইনজীবীর বক্তব্য ছিল, তরুণী চিকিৎসকের দেহে ধস্তাধস্তির কোনও চিহ্ন পাওয়া যায়নি। আর সিবিআই যে প্রমাণ দিচ্ছে, তা পর্যাপ্ত নয়। তাঁর মক্কেলকে একটি 'সাজানো ঘটনায়' ফাঁসানো হচ্ছে বলেই দাবি তাঁর। এই কারণে সঞ্জয় রায়কে যাতে মুক্তি দেওয়া হয়, সেই আবেদন করা হয়।
সিবিআই প্রথম থেকেই সিভিক ভলেন্টিয়ারের ফাঁসির আবেদন করেছিল। চার্জশিটেও তাঁকে একা দোষী হিসেবে দাবি করেছিল। কিন্তু বিচারক অনির্বাণ দাস সঞ্জয় রায়কে ফাঁসির সাজা দেননি। এই নিয়ে সিবিআই তদন্তেরই খুঁত বের করেছেন নির্যাতিতার পরিবারের আইনজীবীরা। তাঁরা স্পষ্টত বলছেন, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার তদন্তেই ফাঁক ছিল।
সোমবার আরজি কর কাণ্ডে শিয়ালদহ কোর্টের নির্দেশ শোনার পর নির্যাতিতার বাবা-মা স্পষ্ট বলেন, ''সিবিআই প্রমাণ করতে পারেনি এটা বিরলের মধ্যে বিরলতম ঘটনা। তাই এই রায় দিয়েছে আদালত।'' একই সঙ্গে তাঁরা এও বলেন, কোনও ক্ষতিপূরণের টাকা তাঁদের চাই না। শুধু বিচার চান।