শেষ আপডেট: 20th January 2025 18:42
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আরজি কর মামলায় দোষী সাব্যস্ত সঞ্জয় রায়ের মৃত্যুদণ্ড হবে, সবাই এমনটাই ভেবেছিলেন। কিন্তু শিয়ালদহ আদালতের ২১০ নম্বর কোর্টরুমে বসে বিচারক অনির্বাণ দাস তাঁর নির্দেশে জানিয়ে দিয়েছেন, এই ঘটনা 'বিরলতম নয়', তাই সঞ্জয়ের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হচ্ছে। রায় শোনার পর প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় সঞ্জয় বলেছে, তার বদনাম হয়ে গেছে। অন্যদিকে, প্রথম থেকেই সঞ্জয়ের পরিবার বলে আসছিল, মৃত্যুদণ্ড দিলেও পরে এই সিদ্ধান্ত নিয়ে কোনও রকম চ্যালেঞ্জ করবে না তারা।
কিন্তু সঞ্জয়ের দিদির এখনও প্রশ্ন, 'গোটা ঘটনার পেছনে আর যারা যারা আছে, তাদের নাম কি প্রকাশ্যে এসেছে? আসেনি! এখনও তারা ঘুরে বেড়াচ্ছে।' তিনি সন্দিহান এই নিয়ে যে আগামীতে আবারও কোনও কর্মরত মহিলার সঙ্গে এহেন আচরণ হবে না তো?
এখনও সঞ্জয়ের দিদি নিজের আগের অবস্থানে অনড়। বলেছেন, তাঁর ভাইয়ের বিচারের দাবিতে কোনও আদালতে যাবে না পরিবার। তবে এখনও তাঁর দৃঢ় বিশ্বাস, আরজি কর হাসপাতালে গত বছর ৯ অগস্ট যা ঘটেছে, তাতে একা সঞ্জয় জড়িত হতেই পারে না। বলেন, 'হাজারটা প্রশ্ন আছে, যার উত্তর খুঁজে পাচ্ছি না'।
সোমবার বিচারক অনির্বাণ দাস অপরাধীর আমৃত্যু কারাদণ্ডের নির্দেশের পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ধার্য করেন। জরিমানা অনাদায়ে আরও পাঁচ মাসের জেল কাটতে হবে বলেও জানান তিনি।
নির্যাতিতার মা-বাবার উদ্দেশে বিচারক বলেন, 'যা মনে হয়েছে বিচার করেছি।' একই সঙ্গে নির্যাতিতার পরিবারকে মোট ১৭ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় রাজ্য সরকারকে। এর মধ্যে ১০ লক্ষ টাকা কর্তব্যরত অবস্থায় মৃত্যুর জন্য এবং ৭ লক্ষ টাকা কর্তব্যরত অবস্থায় ধর্ষণের জন্য ক্ষতিপূরণ হিসেবে নির্ধারিত হয়েছে।
প্রসঙ্গত, এই মামলায় বারবারই মৃত্যুদণ্ডের দাবি জানিয়েছিলেন নির্যাতিতার বাবা-মা। তাঁর মা বলেছিলেন, তাঁদের মেয়ের সঙ্গে যা ঘটেছে, তারপরে এমন নৃশংস অপরাধীর বেঁচে থাকার কোনও অধিকার নেই।
তবে সেই দাবি পুরোপুরি পূরণ হয়নি। বিচারক মৃত্যুদণ্ড না দিয়ে আমৃত্যু কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন। সমবেদনা জানিয়ে আন্দোলনরত চিকিৎসকরা নির্যাতিতার মা-বাবাকে বলেন, 'লড়াই এখনও শেষ হয়নি।'