শেষ আপডেট: 30th September 2024 14:18
দ্য় ওয়াল ব্যুরো: আজও ঝুলে রইল রানাঘাটের ১১২ ফুটের দুর্গাপুজোর অনুমতি। আগামী বৃহস্পতিবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
রানাঘাটের ১১২ ফুটের দুর্গাপুজোর অনুমতি দেওয়া নিয়ে কী পদক্ষেপ করলেন জেলাশাসকের কাছে তা জানতে চেয়েছিল আদালত। রিপোর্ট দিয়ে জেলাশাসক জানান, তিনি অনুমতি দিয়ে পারবেন না। সিপির সঙ্গে আলোচনা করা হবে ওই পুজোর অনুমতি দেওয়া যায় কিনা তা নিয়ে। আদালত বৃহস্পতিবারের মধ্যে বৈঠকের ফলাফল জানতে চেয়েছে। ওই দিনই মামলার পরবর্তী শুনানি।
সম্প্রতি নদিয়ার রানাঘাটের একটি পুজো কমিটির ১১২ ফুটের দুর্গা প্রতিমা তৈরিকে কেন্দ্র করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। মামলা গড়িয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। নদিয়ায় প্রশাসনিক বৈঠক করতে এসে সাংবাদিক বৈঠকে ওই প্রসঙ্গের অবতারণা করেছিলেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশ্ন তোলেন, "১১২ ফুটের প্রতিমা করলে কেউ পদপিষ্ট হলে তার দায়িত্ব কে নেবে?"
জবাবও নিজেই দেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, "১১২ ফুট কেন ৪১২ ফুটের প্রতিমা হোক, আপত্তি নেই। কিন্তু সেই প্রতিমা দেখতে গিয়ে যদি মানুষ মারা যায়? সেখানে মানুষের এন্ট্রি-এক্সিটের পর্যাপ্ত জায়গা রয়েছে কি! শুধু পুজো করলে হবে না, দায়িত্বশীল হয়ে করতে হবে। এমন কিছু করবেন না যাতে মানুষ পদপিষ্ট হয়ে মারা যায়।"
২৫ সেপ্টেম্বর মামলাটির শুনানির সময় এই বিষয়টিই উত্থাপন করেছিলেন রাজ্যের আইনজীবী। তিনি বলেছিলেন, "২০১৫ সালে কলকাতার দেশপ্রিয় পার্কে ‘সবচেয়ে বড় দুর্গা’ তৈরি করা হয়েছিল। ৮৮ ফুটের সেই দুর্গা দেখতে ভিড় ভেঙে পড়ে। বাধ্য হয়ে পুজোর মাঝেই প্যান্ডেল বন্ধ করে দিতে হয়। দেশপ্রিয় পার্কের মতো রানাঘাটের এই পুজোতেও পদপিষ্ট হওয়ার মতো ঘটনা ঘটতে পারে। কারণ মাত্র ১৪ ফুটের রাস্তার উপর ওই প্যান্ডেল করা হয়েছে। তাই এই পুজোতে অনুমতি দেওয়া উচিত নয়।"
উদ্যোক্তাদের পক্ষে আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য এবং ফিরদৌস শামিম এদিন এজলাসে জানিয়েছিলেন, প্রায় ৫০ বছর ধরে দুর্গাপুজো করছে ওই ক্লাব। কোনওবার কোনও সমস্যা হয়নি। এবারের প্রতিমার দৈর্ঘ্য নজিরবিহীন। পুজো দেখতে আসতে পারেন রাষ্ট্রপুঞ্জের প্রতিনিধিরাও। নিয়ম মেনেই গত ৩ সেপ্টেম্বর পুলিশ-প্রশাসনের কাছে অনুমতি চাওয়া হয়েছিল। সেই অনুমতি এখনও মেলেনি। শেষপর্যন্ত বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার জেলাশাসকের উপরেই ছেড়ে দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি।