শেষ আপডেট: 10th November 2024 18:28
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আরজি করের নার্সিং পড়ুয়ার আত্মহত্যার চেষ্টা! শনিবার গভীর রাতে হাসপাতালের নার্স হস্টেলে এই ঘটনা ঘটে। রক্তাক্ত অবস্থায় ওই পড়ুয়াকে উদ্ধার করা হয়। এখন আপাতত আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ওই নার্সিং পড়ুয়া।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, পুরুলিয়ার বাসিন্দা ওই তরুণী আরজি করের নার্সিং বিভাগের তৃতীয়বর্ষের পড়ুয়া। হস্টেলেই থাকতেন তিনি। শনিবার রাতে রুমমেটের সঙ্গে বচসা হয়। তারপরে তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে পাশের ঘরের সহপাঠীরা।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই নার্সিং পড়ুয়ার অভিযোগ, গত কয়েকদিন ধরে ঘরের লাইট নেভানো নিয়ে তাঁর সহপাঠীর সঙ্গে বচসা হচ্ছিল। রাতে তিনি পড়াশোনা করতে পারছিলেন না। বিষয়টি তাই কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছিলেন। কিন্তু কর্তৃপক্ষ উল্টে তাঁকে দোষারোপ করে। ফলে তিনি অবসাদে ভুগতে শুরু করেন।
হস্টেলের সহপাঠীদের দাবি, শনিবার রাতেও ওই নার্সিংপড়ুয়ার সঙ্গে তাঁর রুমমেটের লাইট নেভানো নিয়েই বচসা হয়েছিল। এরপরে তাঁরা ওই তরুণীকে হস্টেলের ঘর থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাতে উত্তেজনা ছড়ায়। পরে ওই তরুণীকে আরজি কর হাসপাতালেই ভর্তি করা হয়েছিল। সেখানে তাঁর চিকিৎসা চলছে।
অগস্টের ৮ তারিখে ডাক্তারি পড়ুয়ার দেহ উদ্ধার নিয়ে শিরোনামে উঠে আসে আরজি। এরপরেই ওই পড়ুয়াকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ ওঠে। ঘটনার প্রকাশ্যে আসার পরে সঞ্জয় রায় নামে এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেফতার করা হয়। হাসপাতালের ভিতর সঞ্জয়ের অবাধ বিচরণ নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়ে আরজি কর হাসপাতালে কর্তৃপক্ষ। কাঠগোড়ায় তোলা হয় প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে। উঠে আসে থ্রেট কালচারের অভিযোগ। নাম ওঠে অভীক দত্ত সহ আরও অনেক জুনিয়র ডাক্তারের নাম। এবার নার্সিং পড়ুয়া আত্মহত্যার চেষ্টা করায় নিরাপত্তা নিয়ে আরও একবার প্রশ্নের মুখ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।