শেষ আপডেট: 11th August 2024 12:28
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আর জি কর কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত গ্রেফতার হয়েছে। তাকে ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতেরও নির্দেশ দিয়েছে আদালত। কিন্তু প্রশ্ন হল, এই জঘন্য ঘটনা কি সে একাই ঘটিয়েছে, না তার সঙ্গে আরও কেউ ছিল? কারণ, তরুণীর ওপর যে অত্যাচার হয়েছে তা এক কারও পক্ষে আদৌ করা সম্ভব কিনা, সে নিয়েই ধন্দ।
পুলিশি তদন্তে প্রাথমিকভাবে উঠে এসেছে, মৃতার শরীরের অন্তত ১১ জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। বুক, পেট, পা থেকে শুরু করে ঘাড়, গলা এমনকী যৌনাঙ্গে আঘাত রয়েছে। হাড় ভেঙেছে একাধিক। অপরাধের ধরন দেখে অনেকেই মনে করছেন যে, অভিযুক্ত একা সেখানে ছিলেন না, তার সঙ্গে অন্য কেউ বা একাধিকজনও থাকতে পারে। আন্দোলনকারী মেডিক্যাল পড়ুয়া এবং চিকিৎসকদের একাংশ ইতিমধ্যেই এই নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন।
ঘুমের মধ্যে থেকে টেনে তুলে তরুণীর ওপর নারকীয় অত্যাচার চালানো হয়েছে বলে আগেই জানা গেছে। শেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, তরুণীকে একবার নয় একাধিকবার ধর্ষণ করা হয়। একই সঙ্গে মারধরও করা হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই একটা প্রশ্ন উঠে আসে, এই সময়ে তরুণীর চিৎকার কেন কেউ শুনতে পেল না। কেন কেউ তাঁকে সাহায্য করতে এগিয়ে এল না। এই জায়গাতেই মূল সন্দেহ যে, অভিযুক্তের সঙ্গে সেখানে আরও কেউ থাকতে পারেন। অর্থাৎ একাধিক জন মিলে এই কাণ্ড ঘটিয়েছে তাই তরুণী চাইলেও চিৎকার করতে পারেনি।
চিকিৎসকদের একাংশ বলছে, সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে অন্তত ৪৫ মিনিট ওই সেমিনার হলে ছিল অভিযুক্ত। ওই সময়ের মধ্যে একজনের পক্ষে কাউকে এত অত্যাচার করা সম্ভব নয়। আর যেভাবে তরুণীকে শ্বাসরোধ করা হয়েছে তাতে স্পষ্ট দুই হাতের জোরেই তা করা হয়েছে। এতএব সেই সময়ে বুকে প্রবল চাপ দেওয়া সম্ভব নয়। তাই অনুমান করা যায়, সেই সময়ে অন্য কেউ তরুণীর হাত, পা ধরে ছিল যাতে তরুণী নড়াচড়াই না করতে পারে। কেউ একজন এই কাজ করলে কারও শরীরে একাধিক আঘাত থাকতেই পারে কিন্তু সেগুলি শরীরের ২-৩টি জায়গায় থাকার কথা। ১১-১২ জায়গায় রয়েছে মানে ঘটনার আর কেউ যুক্ত ছিল।
পুলিশি জেরাতেই অবশ্য অভিযুক্ত সঞ্জয় রায় নিজের দোষ স্বীকার করেছে বলে খবর। শুধু তাই নয়, সে নিজের মেজাজেই রয়েছে। তার মধ্যে কোনও অনুতাপই নেই বলে জানা গেছে। এমনকী সে নিজেই দাবি করেছে তাকে ফাঁসি দিতে। তবে পুলিশের অনুমান, তাকে জেরা করে আরও কিছু তথ্য উঠে আসতে পারে। যদিও সঞ্জয়ের সঙ্গে আর কেউ ছিল কিনা, সে ব্যাপার নিয়ে এখনও নিশ্চিত কিছু বলতে পারেনি পুলিশও।