শেষ আপডেট: 25th January 2025 16:38
দ্য ওয়াল ব্যুরো: রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সলের স্ক্যানারে এবার জুনিয়র ডাক্তার কিঞ্জল নন্দ। তাঁর ব্যাপারে একাধিক তথ্য জানতে চেয়ে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। পিজিটি হিসেবে কত টাকা স্টাইপেন্ড পেতেন কিঞ্জল, এই ধরনের তথ্য জানতে চাওয়া হয়েছে। এর আগে অন্য এক জুনিয়র ডাক্তার আসফাকুল্লা নাইয়াকে নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। এবার সেই তালিকায় কিঞ্জল।
এম এস কোর্স শেষের আগেই সেই ডিগ্রি ব্যবহার করার অভিযোগ উঠেছে আসফাকুল্লার বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় প্রথমে তাঁকে কড়া চিঠি দেয় মেডিক্যাল কাউন্সিল। পরে জুনিয়র ডাক্তারকে তলব করে ইলেকট্রনিক্স থানার পুলিশ। তলব আটকাতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন আসফাকুল্লা। সেই মামলার শুনানিতে আপাতত ৬ সপ্তাহের স্থগিতাদেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। এবার কিঞ্জলকে নিয়ে বিতর্ক।
সূত্র মারফৎ জানা গেছে, আরজি কর আন্দোলনের অন্যতম মুখ কিঞ্জল বিজ্ঞাপন এবং সিনেমায় অভিনয় করতে নিজের বিভাগ, কলেজ বা স্বাস্থ্য দফতর থেকে কোনও অনুমতি নিয়েছিলেন কিনা, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। এছাড়া পিজিটি হিসেবে তাঁর ৮০ শতাংশ উপস্থিতি রয়েছে কিনা, তাও জানতে চেয়েছে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল।
আরজি কর হাসপাতালের ঘটনায় বিচার চেয়ে পথে নেমেছেন, আন্দোলন করেছেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা। তাঁদের মধ্যে অন্যতম নাম চিকিৎসক আসফাকুল্লা, কিঞ্জল নন্দরা। পরপর তাঁদের বিরুদ্ধে এই ধরনের পদক্ষেপ নেওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে। অন্যান্য জুনিয়র চিকিৎসকরা দাবি করেছেন, আন্দোলন করে রাজ্যের ওপর চাপ বাড়িয়েছিলেন তাঁরা। এখন তারই বদলা নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। এতদিন এই তথ্য কেন চায়নি রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল, এখনই কেন আচমকা এইসব তথ্য চাই, সেই প্রশ্নও করা হচ্ছে।
ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের তরফে প্রথম চিকিৎসক আসফাকুল্লা নাইয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয়েছিল। তাঁরা একটি ছবি দেখিয়েছিলেন আরজি কর হাসপাতালের ইএনটি বিভাগের এই জুনিয়র ডাক্তারের। সেখানে দেখা যায়, সিঙ্গুরে স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়া একটি সংস্থার পোস্টারে আন্দোলনকারী আসফাকুল্লার নাম উল্লেখ করে তার পাশে লেখা 'এমএস'। সেই থেকেই হয় ঝামেলার সূত্রপাত।