শেষ আপডেট: 9th September 2024 23:57
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আরজি কর কাণ্ডের শুনানিতে সোমবার সুপ্রিম কোর্ট আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছে কাজে ফেরার। মঙ্গলবার বিকেল ৫টার মধ্যে তাঁদের কাজে ফিরতে হবে। কিন্তু রাতেই সাংবাদিক বৈঠক করে প্রতিবাদী ডাক্তাররা জানিয়ে দিলেন, তাঁরা এখনই কাজে ফিরবেন না। বরং তাঁরা যে পাঁচ দফা নিয়ে আন্দোলন করছেন, সেটাই বজায় রাখবেন।
সুপ্রিম কোর্ট জুনিয়র ডাক্তারদের সময় বেঁধে দিয়েছে। এদিকে রাজ্য সরকারকে পাল্টা 'ডেডলাইন' দিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তাঁদের বক্তব্য, সব দাবি পূরণ করতে হবে রাজ্য সরকারকে। তবেই কর্মবিরতি তোলার বিষয়টি বিবেচনা করে দেখা হবে। যদিও মঙ্গলবারই আবার তাঁরা স্বাস্থ্যভবন অভিযানের ডাক দিয়েছেন। সেখানে ধর্নাও করবেন আন্দোলনকারীরা। পাশাপাশি গোটা ঘটনায় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বিবৃতিও দাবি করা হয়েছে।
হাসপাতালের আর্থিক দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। কিন্তু গ্রেফতার আগে পর্যন্ত তাঁর বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নেয়নি রাজ্য। কেন, সেই প্রশ্ন আবার তোলা হয়েছে। জুনিয়র ডাক্তারদের কথায়, রাজ্য সরকার এখন পুরো গাফিলতি সিবিআই তদন্তের ওপর চাপিয়ে দিতে চাইছে। বিরূপাক্ষ বা অভীক দে-কে সাসপেন্ড করা হলেও যথাযথ কারণ দেখানো হয়নি। সন্দীপ ঘোষকে শুধু শো-কজ করা হয়েছে। তাঁদের কটাক্ষ, 'এটা শাক দিয়ে মাছ ঢাকার মতো ঘটনা।'
আন্দোলনকারীদের কথায়, ''এরকম একটি দুর্বল সাসেপনশন অর্ডার কোর্টে গেলেই প্রত্যাখ্যান করে দেওয়া হবে। এটি বাস্তবে গণক্ষোভ প্রশিমত করার জন্য একটি আইওয়াশ ছাড়া আমরা কিছু মনে করতে পারছি না।'' তাঁদের দাবি, সুস্পষ্টভাবে রাজ্য সরকার সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে কড়া ডিসিপ্লিনারি অ্যাকশন নিক, অভীক দে ও বিরূপাক্ষকে যথাযথ কারণ দর্শিয়ে সাসেপন্ড করুক স্বাস্থ্যভবন। তাঁরা এও বলছেন, ''আর জি করের মতো অবস্থা আমরা চাই না ভবিষ্যতে কোনও মেডিক্যাল কলেজে হোক। কিন্তু ৯ অগস্টের ঘটনা কোনও বিক্ষিপ্ত ঘটনা নয়। এটাও মানতে হবে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোমবার সাংবাদিক বৈঠক করে সকলকে উৎসবে ফেরার বার্তা দিয়েছেন। এই মন্তব্যেরও তীব্র বিরোধিতা করেছেন প্রতিবাদী ডাক্তাররা। এই প্রেক্ষিতে তাঁরা পাল্টা বলেছেন, ''মঙ্গলবার ৫টার মধ্যে রাজ্য সরকার পদক্ষেপ করে আমাদের দাবিগুলিকে মিটিয়ে দিক। তবেই আমরা কর্মবিরতি প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর আবেদন ভেবে দেখতে পারি। নাহলে আমরা বুঝব, সরকার আদৌ চায় না অচলাবস্থা কাটুক।''