শেষ আপডেট: 13th October 2024 19:02
দ্য ওয়াল ব্যুরো: কলকাতার বুকে ঘটে যাওয়া ধর্ষণ ও খুনের পর থেকে মন ভাল নেই কারও। তারই মাঝে আসে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব, দুর্গাপুজো। উৎসবে যোগ না দিলেও মাতৃশক্তি আরাধনা করেছেন প্রায় সকলেই। পুজোর পাশাপাশি প্রতিবাদও করেছেন বহু মানুষ। প্যান্ডেলে আর জি করের ঘটনার বিচার চেয়ে পোস্টার, ব্যানার টাঙিয়েছে বহু পুজো প্যান্ডেল। বাদ যায়নি বনেদি বাড়ি গুলোও। পুজোর পাশাপাশি এবার প্রতিমা নিরঞ্জনেও প্রতিবাদের চিত্র ফুটে উঠল শোভাবাজার রাজবাড়ি (রাজা রাজকৃষ্ণ দেব)-তে।
শনিবারই পঞ্জিকা মতে বাগবাজার ঘাটে প্রতিমা নিরঞ্জন হয় শোভাবাজার রাজবাড়ির। বরণ করার পর নিয়ম মেনে বাগবাজার ঘাটে শোভাযাত্রা করে নিয়ে যাওয়া হয় প্রতিমাকে। ভিড় জমায় বহু মানুষ। ফোন, ক্যামেরা হাতে শোভাযাত্রায় সামিল হয় অগুন্তি ভক্ত। চিত্রটা এরকম হলেও অদ্ভুতভাবে ঢাকের কোনও আওয়াজ কানে ভেসে আসেনি।
ঢাক-ঢোল বাজিয়ে যে শোভাযাত্রা হচ্ছে এত বছর ধরে, সেই নিয়মে হঠাৎ পরিবর্তন! পরিবারের সদস্য প্রবীর কৃষ্ণ দেবের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আর জি করের ঘটনার প্রতিবাদে এই বছর নিঃশব্দে মাকে বিদায় জানানোর পরিকল্পনা করেছেন তাঁরা। আর তাই মা ফিরছেন ঢাল ঢোলের শব্দ ছাড়াই।
প্রবীরবাবু বলেন, 'শহরের বুকে এত বড় ঘটনা ঘটে গেল। মা তো নিজেও ভাল নেই। ফিরছেন বাড়ি। নিঃশব্দে ঘরে ফেরা এবার তাঁর।' নিরঞ্জনের সময়ও কোনওরকম বাদ্যি বাজেনি। মাঝগঙ্গায় নিঃশব্দেই চলে গেলেন তিনি।
উল্লেখ্য, ১৭৫৭ সালে পলাশির যুদ্ধের পর দুর্গাপুজো করার পরিকল্পনা করেন রাজা নবকৃষ্ণ দেব। ১৩ বিঘা জমি কেনেন। সেখানে তখন ছিল একটি ভাঙা বাড়ি। সিদ্ধান্ত নেন প্রথমেই তৈরি হবে দুর্গা দালান। মাত্র ২-৩ মাসের ভিতরে দালান তৈরি হয়। আজও সেই দালানেই মা আসেন প্রতিবছর। চতুর্থীর দিন তাঁকে বসানো হয় সিংহাসনে। বিজয়া দশমীর দিন কনকাঞ্জলির মাধ্যমে বিদায় জানানো হয়। আমন্ত্রণ দেওয়া হয়, আগামী বছরের।