লকেট চট্টোপাধ্যায় ও জিতেন্দ্র তিওয়ারি
শেষ আপডেট: 7th December 2024 17:18
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর যে অকথ্য অত্যাচার চলছে, তা কারোর কাছেই অজানা নয়। সেই প্রতিবাদেই এবার অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টস চত্বরের রাণু ছায়া মঞ্চে কালচারাল অ্যান্ড লাইব্রেরি ফোরাম অফ বেঙ্গলের বিক্ষোভ কর্মসূচি।
বাংলাদেশে বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরে যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে তার জন্য ক্ষোভ বাড়ছে এপার বাংলাতেও। সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণের পাশাপাশি ভারতীয় পতাকাকেও অপমান করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এর প্রতিবাদে সরব হয়ে শনিবার কর্মসূচি করল কালচারাল অ্যান্ড লাইব্রেরি ফোরাম অফ বেঙ্গল। উপস্থিত ছিলেন বিজেপির লকেট চট্টোপাধ্যায় ও জিতেন্দ্র তিওয়ারি-সহ একাধিক সাংস্কৃতিক জগতের মানুষ। নাচে-গানে বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের প্রতিবাদ জানালেন তাঁরা।
লকেট বলেন, 'আমি প্রত্যেক শিল্পীদের বলব, তাঁরা যেন বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সরব হন। আমরা কি এতটাই স্বার্থপর হয়ে গিয়েছি যে যে প্রতিবাদ করতে পারছি না! আজ যাঁরা এই প্রতিবাদ কর্মসূচিতে এসেছেন তাঁদের ধন্যবাদ জানাই। আমরা হিন্দু, আমরা ভারতীয়। একের পর এক মেয়েদের সে দেশে শাখা-পলা থেকে শুরু করে বাইরে বেরনোর জন্য ফতোয়া জারি করে দেওয়া হচ্ছে। রক্তগঙ্গা বইছে। মন্দির ভাঙছে। লুঠ হচ্ছে। কেন কেউ কথা বলছেন না? কে সিপিএম, কে বিজপি কে তৃণমূল এসব না ভেবে আমাদের ভাবতে হবে যে আমরা ভারতীয়। আমাদের পাসেই বাংলাদেশ। আমাদের আওয়াজ তুলতে হবে এ নিয়ে। শুনছি মাইক বন্ধ করে দিচ্ছে সরকার। আমার তো সন্দেহ হচ্ছে এটা পশ্চিমবঙ্গ সরকার নাকি ইউনুস সরকার।'
অন্যদিকে বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি জানান, 'বাংলাদেশে যেভাবে বাঙালিদের ওপর অত্যাচার হচ্ছে, সনাতনী বাঙালিদের ওপর যেভাবে নির্যাতন হচ্ছে, তার বিরুদ্ধে, ইউনিসের সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার জন্য বাংলার বিভিন্ন জায়গা থেকে শিল্পী, সাহিত্যিকরা পথে নেমেছেন। তাঁরা আজ আন্দোলনরত। বাংলাদেশ সরকারের এহেন আচরণের প্রতিবাদে আমরা এই কর্মসূচি করছি।'
প্রসঙ্গত, এদিন সকালেও টালিগঞ্জ মেট্রো স্টেশ জামাকাপড় থেকে শুরু করে বাংলাদেশের তৈরি একাধিক সামগ্রী পুড়িয়ে প্রতিবাদ জানায় অখিল ভারতীয় হিন্দু মহাসভা।
তাঁরা এও বলেছে, শুধু টালিগঞ্জ স্টেশন নয়, শহরের মোট ১০টি স্টেশনের বাইরে তাঁরা এই কর্মসূচি করবে। একই সঙ্গে, বাংলাদেশকে পুরোপুরি বয়কটের ডাক দিয়েছে এই সংগঠন।