শেষ আপডেট: 9th August 2024 17:25
দ্য় ওয়াল ব্যুরো: অবশেষে বেলা পাঁচটা নাগাদ ময়নাতদন্তে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে আরজিকরের পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ছাত্রীর দেহ। একজন ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতেই হবে ময়নাতদন্ত। এরজন্য একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে। ওই ছাত্রীর বাড়ির লোক, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও পুলিশের প্রতিনিধিদের রাখা হয়েছে ওই কমিটিতে। কমিটির সদস্যদের উপস্থিতিতেই হবে ময়নাতদন্ত।
এদিকে সময় যত গড়াচ্ছে ততই বিক্ষোভের আঁচ বাড়ছে আরজিকর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল চত্বরে। পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ছাত্রীর মৃত্যুর রহস্য উন্মোচনের দাবিতে এককাট্টা হচ্ছেন পড়ুয়ারা। উত্তাল হচ্ছে আরজিকর মেডিক্যাল কলেজ চত্বর। এদিন খবর জানাজানি হতেই বিভিন্ন চিকিৎসক সংগঠনের নেতাদের পাশাপাশি বিজেপি নেতৃত্বও পৌঁছে গেছেন হাসপাতাল চত্বরে। তাঁদের দাবি, যারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের চিহ্নিত করুক পুলিশ। অবিলম্বে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হোক তাঁদের বিরুদ্ধে। বিকেলের পর শহরের অন্য মেডিক্যাল কলেজের ছাত্ররাও ভিড় জমাতে থাকেন হাসপাতাল চত্বরে। পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কায় আরও বেশি সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয় হাসপাতালে। আনা হয়েছে ব়্যাফও।
কেন সকাল ১১টায় দেহ উদ্ধারের পরেও বিকেল পর্যন্ত দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হচ্ছে না তাই নিয়ে প্রশ্ন তুলছিলেন পড়ুয়ারা। তবে সূত্রের খবর, নতুন ন্যায় সংহিতা অনুযায়ী, এমন ক্ষেত্রে একজন ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতেই ময়নাতদন্ত করার বিধান রয়েছে। তাই অপেক্ষা করছিলেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বিকেলবেলা ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতেই ময়নাতদন্তে পাঠানো হয় দেহ।
এদিকে মৃত পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ছাত্রীর সহপাঠীরা প্রশ্ন তোলেন, জরুরি বিভাগের চারতলায় যে সেমিনার হল থেকে দেহ পাওয়া গেছে সেখানে কোনও সিসি ক্যামেরা নেই। তাহলে কি সব কিছু জেনে বুঝেই ওই ঘরে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ওই তরুণীকে। তারপর ক্যামেরা না থাকার সুযোগের সদব্যবহার করা হয়েছে! কর্তৃপক্ষ অবশ্য এ বিষয়ে এখন কোনও মন্তব্য করেননি। খবর পেয়ে আসার পর শহরের পুলিশ কমিশনার দীর্ঘক্ষণ রয়েছেন হাসপাতালের ওই ভবনটিতে। তদন্তের অভিমুখ সম্পর্কে তিনি কী বলেন তারই অপেক্ষায় রয়েছেন সাংবাদিকরাও।