শেষ আপডেট: 9th March 2025 16:28
দ্য ওয়াল ব্যুরো: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) অচলাবস্থার জন্য দায়ী একমাত্র সিপিএম (CPM) এবং তৃণমূল (TMC)। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে (Bratya Basu) ঘিরে বামপন্থী ছাত্রদের বিক্ষোভ ও পরবর্তী অস্থিরতার প্রতিবাদে পথে নেমে এমনই অভিযোগ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে 'সেকু ও মাকু'দের উৎখাতের ডাকও দেন।
কলকাতা হাইকোর্টের অনুমতি নিয়ে শর্তসাপেক্ষে রবিবার দুপুরে দক্ষিণ কলকাতার নবীনা সিনেমা হলের সামনে থেকে যাদবপুর থানার ১০০ মিটার আগে পর্যন্ত মিছিল করেন বিজেপি নেতা কর্মীরা। মিছিলের নেতৃত্ব দেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। সঙ্গে ছিলেন কৌস্তভ বাগচি, ইন্দ্রনীল খাঁ-র মতো একাধিক প্রথমসারির নেতা।
এদিনের মিছিল থেকে শুভেন্দু বাম ও তৃণমূলকে নিশানা করে পরিষ্কার জানিয়ে দেন, যাদবপুর ইস্যু থেকে এক পা সরে আসবে না বিজেপি। সাফ বলেন, “আমরা শুধু আজ কর্মসূচি নিচ্ছি এমনটা নয়। ১৬ (ফেব্রুয়ারি) তারিখে আমরা যাদবপুরে নাগরিক কনভেনশন করব। উচ্চমাধ্যমিক শেষ হলে বাইরে আমরা কাজ করব। মাকুদের রাষ্ট্রবিরোধী শক্তিকে উপরে ফেলার কাজ করবে ভারতীয় জনতা পার্টি। এখানে পড়াশুনোর সুস্থ পরিবেশ ফেরাতে হবে।" এছাড়াও মিছিল থেকে মার্ক্সবাদের বিরুদ্ধে সবাইকে এক হয়ে লড়াই করার ডাক দেন।
গত শনিবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু ওয়েবকুপার মিটিংয়ে গেলে তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখানোর অভিযোগ ওঠে বাম ছাত্র সংগঠনের বিরুদ্ধে। যদিও মন্ত্রীর গাড়ি এক ছাত্রকে চাপা দেওয়ার ঘটনার পর থেকেই মুহূর্তে অশান্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি।
এমন পরিস্থিতিতে রবিবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পঠনপাঠনের স্বাভাবিক অবস্থা ফেরানোর দাবিতে পথে নামে বিজেপি। যদিও প্রথমে মিছিলের অনুমতি কলকাতা পুলিশ না দিলে সোজা কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় গেরুয়া শিবির। শুক্রবার হাইকোর্টের তরফে জানানো হয়, মিছিল করা গেলেও একাধিক বিধিনিষেধ মানতে হবে। সে লাউড স্পিকার ব্যবহার হোক বা মিছিল থেকে কোনও পুলিশকর্মীকে আক্রমণ করা যাবে না।
অন্যদিকে এদিনের মিছিল থেকে ব্রাত্য বসু, ওমপ্রকাশ মিশ্রদের গ্রেফতারের দাবিও ওঠে। তবে সুলেখা মোড় থেকে শুরু হওয়ার কথা থাকলেও মিছিল নবীনা সিনেমা হলের সামনে থেকে শুরু হয় এবং হাইকোর্টের নির্দেশে যাদবপুর থানা থেকে ১০০ মিটার দূরে শেষ হয় মিছিল।