শেষ আপডেট: 22nd January 2025 18:22
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ৯৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেসের কাউন্সিলর তথা মেয়র পারিষদ মিতালী বন্দ্যোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করতে হবে! এই দাবিতে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের ঘরের বাইরে বিক্ষোভ দেখালেন বর্তমান এবং প্রাক্তন বাম কাউন্সিলররা। পাশাপাশি মেয়রের কাছে ডেপুটেশনও জমা দিলেন তাঁরা।
বাঘাযতীনে বহুতল ভেঙে পড়ার ঘটনায় আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছিল। সেই ঘটনার প্রেক্ষিতে মিতালি বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয়েছে। কিন্তু ওই ঘটনার পর আরও কয়েক জায়গায় একই রকম ঘটনা ঘটেছে। বুধবারই ট্যাংরায় হেলে পড়ে আরও এক বহুতল। সব মিলিয়ে কলকাতা পুরসভার কাছে উত্তর চায় বামফ্রন্ট।
মূলত বাঘাযতীনের ঘটনা নিয়েই বুধবার পুরসভায় বিক্ষোভ দেখানো হয়। প্রতিবাদীরা বিভিন্ন পোস্টার এবং প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষোভ দেখান। মিতালি বন্দ্যোপাধ্যায়কে অপসারণ এবং গ্রেফতার করার দাবি করা হয়েছে। এছাড়া বক্তব্য, যেখানে সেখানে জলাভূমি বুজিয়ে, গাছ কেটে নির্মাণকাজ করা যাবে না। পাশাপাশি দাবি জানানো হয়েছে, হেলে পড়া বাড়ির বাসিন্দাদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করতে হবে।
বাম কাউন্সিলরদের কথায়, 'আমাদের কাছে তথ্য আছে যে, জুন থেকে নভেম্বর মাসে ৫৫০ উপর বেআইনি বাড়ি নির্মাণ হয়েছে। কাউন্সিলর, পুলিশ, প্রমোটার সবাই মিলেমিশে এই কাজের সঙ্গে যুক্ত। তাই ৯৯ ওয়ার্ডেরর কাউন্সিলরের পদত্যাগ চেয়েছি। এছাড়া প্রমোটারের পাশাপাশি তাঁকেও গ্রেফতার করতে হবে।' তাঁদের বক্তব্য, এখন বাড়ি ভাঙা, হেলে পড়ার বিষয়টি উৎসবে পরিণত হয়েছে।
এই ইস্যুতে মেয়র ফিরহাদ হাকিমের বক্তব্য, ''হেলা বাড়ির সংখ্যা প্রায় ৩০টি। হেলা নিয়ে হইহই করার দরকার নেই। ৯৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাণ্ডে দুই ইঞ্জিনিয়ারকে শো-কজ করা হয়েছে। রিপোর্ট জমা পড়েছে। টেকনিক্যাল জমা পড়েছে।'' তিনি আরও জানান, নবান্নতে যে রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে সেটা পাস হলে বেআইনি বাড়ি তৈরি আটকানো যাবে।
গত ১৪ জানুয়ারি বাঘাযতীনে হেলে পড়ে একটি বহুতল। ধসে যায় ফ্ল্যাটটির একাংশ। হাইড্রোলিক জ্যাক দিয়ে বাড়িটি উঁচু করা হচ্ছিল বলে জানা যায়। অন্যদিকে মঙ্গলবারই কামারহাটির সাত নম্বর ওয়ার্ডের ধুবিয়াবাগান এলাকায় আচমকাই তিন তলা বিল্ডিং হেলে পড়ে। পরপর এমন ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্ক বেড়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে।