শেষ আপডেট: 12th March 2025 17:47
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বহিরাগত প্রবেশের অভিযোগে বুধবার উত্তেজনা ছড়ায় যোগেশচন্দ্র চৌধুরী কলেজে (Jogesh Chandra Chaudhuri College)। পড়ুয়াদের মধ্যে বচসা তো হয়ই, পরিচালন সমিতির বৈঠকে যাওয়া তৃণমূল সাংসদ মালা রায়কে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ দেখায় ছাত্র-ছাত্রীরা। তাঁদের মূল অভিযোগ ছিল, বারবার নির্দেশ অমান্য করে কলেজে বহিরাগতরা ঢুকছে। এই বিষয়ে মুখ খুলেছেন যোগেশের অধ্যক্ষ পঙ্কজ রায় (Pankaj Roy)। ঠিক কী বললেন তিনি?
পড়ুয়াদের অভিযোগ, বহিরাগতরা এখনও কলেজের মধ্যে ঢুকছে। অবাধ যাতায়াত করছেন তাঁরা। এই নিয়ে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দুই পক্ষের মধ্যেই কার্যত বিবাদ দেখা দেয়। বিষয়টি নিয়ে পঙ্কজ রায় প্রথমেই ক্ষমা চেয়ে নেন। তাঁর বক্তব্য, ''যারা এসেছিল তারা গন্ডগোল করার জন্যই এসেছিল। মহিলা, সাংবাদিকদের সঙ্গে যে আচরণ করা হয়েছে বলে শুনেছি তার তীব্র নিন্দা করছি আমি। এটা কোনও ভাবেই মানা যায় না। আসলে সমাজে যা ঘটছে তার প্রতিফলন ঘটছে এখানে।''
আগামী শুক্রবার দোল। কিন্তু যোগেশের ক্যাম্পাসে বুধবারই অনেক পড়ুয়া রং খেলায় মেতে ওঠেন। পড়ুয়াদের একাংশের অভিযোগ, জোর করে তাঁদের রং মাখানো হয়েছে, গায়ে জল দেওয়া হয়েছে। এমনকী ক্যাম্পাসে আসা সাংবাদিক, চিত্র সাংবাদিকদেরও হেনস্থা করার অভিযোগ উঠেছে। কলেজের অধ্যক্ষের কথায়, আজ কোনও দোল উৎসব ছিল না, কলেজে কোনও অনুষ্ঠান ছিল না, বসন্ত উৎসবও ছিল না। কারা এল, কেন এল, কী উদ্দেশ্য ছিল তাদের, সেটা জানা দরকার।
মূলত কলেজের ডে এবং আইন বিভাগের পড়ুয়াদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। আবির খেলাকে কেন্দ্র করে বচসা শুরু হয়েছিল। তৃণমূল সাংসদ মালা রায় অবশ্য বলেন, তিনি বৈঠক করতে কলেজে এসেছিলেন। তাঁর পক্ষে বোঝা সম্ভব নয় কে বহিরাগত আর কে বহিরাগত নয়। বিষয়টি প্রশাসন দেখবে, কলেজ কর্তৃপক্ষ দেখবে। কিন্তু অধ্যক্ষ স্পষ্টত বলেন, তৃণমূল সাংসদ এবং ল কলেজের প্রিন্সিপাল আগে বেরিয়ে গেছিলেন। তাঁদের উচিত ছিল যারা পরে ঢুকেছিল তাদের নিয়ে বেরিয়ে যাওয়া।
এই ঘটনার পর তড়িঘড়ি যোগেশচন্দ্র কলেজ বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলা হয়েছে, আগামী ১৫ তারিখ পর্যন্ত কলেজ বন্ধ থাকবে। তা খুলবে ১৭ তারিখ, সোমবার। আর কলেজে প্রবেশের ক্ষেত্রে প্রত্যেক শিক্ষক-শিক্ষিকা, অশিক্ষক কর্মী এবং ছাত্র-ছাত্রীদের আইডি কার্ড নিয়ে আসতে বলা হয়েছে। তা না থাকলে তাঁদের ঢুকতে দেওয়া হবে না। কারও কাছে একান্তই না থাকলে কর্তৃপক্ষর থেকে লিখিত অনুমতি আনতে হবে।