শেষ আপডেট: 4th March 2025 15:55
দ্য ওয়াল ব্যুরো: সোমবার এনআরএস হাসপাতাল (NRS) থেকে ছাড়া পেয়েছিলেন ট্যাংরা কাণ্ডের (Tangra Triple Death) ছোট ভাই প্রসূন দে। রাতেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। মঙ্গলবার প্রসূনকে শিয়ালদহ আদালতে (Sealdah Court) পেশ করেছে পুলিশ। তাঁকে নিজেদের হেফাজতে চেয়ে আবেদন করা হবে তাঁদের তরফে। প্রসূনের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১০৩ (১) অর্থাৎ খুনের ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
প্রসূন পুলিশের কাছে নিজের দোষ স্বীকার করে নিয়েছেন বলে সূত্রের খবর। তবে ছোট ভাইয়ের সঙ্গে বড় ভাই প্রণয়ও প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত কিনা, সে বিষয়ে এখনও সম্পূর্ণভাবে নিশ্চিত নয় পুলিশ। সেক্ষেত্রে প্রণয় হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলে তাঁকেও গ্রেফতার করবে পুলিশ। পরে দুজনকেই হেফাজতে নিয়ে মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে। অন্যদিকে, প্রসূনকে নিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করা হবে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।
গত ১৯ ফেব্রুয়ারি ভোরের দিকে ইএম বাইপাসে অভিষিক্তা মোড়ের কাছে দুর্ঘটনায় জখম হয় প্রণয়, প্রসূন ও প্রণয়ের ছেলে। তাঁদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ৷ এরপরই সামনে আসে অতুল শূর রোডে দে পরিবারের বাড়িতে দুই বধূ ও মেয়ের দেহ পড়ে রয়েছে। তারপর থেকে অনেক জটিল হয়েছিল রহস্য। প্রথমে প্রসূন পুলিশকে জানিয়েছিলেন স্ত্রী এবং বৌদি নিজেরাই হাত কেটেছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি সে নাকি স্বীকার করেছে যে, হাত কেটে তিনজনকে খুন নিজেই করেছে সে! ওই স্বীকারোক্তির জেরেই হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর প্রসূনকে গ্রেফতার করে হেফাজতে নেয় পুলিশ।
এর আগে আহত নাবালকও শিশু সুরক্ষা কমিশনের কাছে দাবি করেছিল যে, কাকাই খুন করেছে। তাঁকে মারতে এলে সে মরার ভান করে পড়েছিল। বড় ভাই প্রণয়ও আগে পুলিশকে জানিয়েছিলেন, হাত কাটার ভাবনা তাঁর ভাইয়েরই ছিল। তিনি নিজে ভয়ে কাটতে পারেননি। মনে করা হচ্ছে, ট্যাংরা কাণ্ডের জট প্রসূন এবং প্রণয়কে জেরা করেই কাটবে।