শেষ আপডেট: 6th March 2025 08:43
দ্য ওয়াল ব্যুরো: কসবা কাণ্ডের (Kasba Suicide Case) ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট (Postmortem Report) এসেছে। তাতে বলা হয়েছে, তিন বছরের শিশুর মৃত্যু হয়েছে শ্বাসরোধের কারণে। কিন্তু তাঁকে কে খুন করেছেন, বাবা না মা, সেটা এখনও পরিষ্কার নয়। রিপোর্ট উল্লেখ করা হয়েছে, শিশুটির নাক এবং ঠোঁটে একাধিক আঘাত রয়েছে। মনে করা হচ্ছে, শ্বাসরোধ করার সময়ই সেই চোট লাগে তার।
গত মঙ্গলবার কসবার রথতলার পূর্বপল্লীর একটি বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় সোমনাথ রায় (৪০), তাঁর স্ত্রী সুমিত্রা (৩৫) এবং আড়াই বছরের পুত্র রুদ্রনীলের ঝুলন্ত দেহ। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান এটাই ছিল যে, ছেলেকে মেরে তারপর নিজেরা আত্মহত্যা করেছিলেন তাঁরা। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট সেটাই স্পষ্ট করে দিল। সোমনাথ এবং সুমিত্রার মাথা, গলা এবং চোখে এমন চিহ্ন মিলেছে যাতে স্পষ্ট যে, গলায় দড়ি দেওয়ার জন্যই তাদের মৃত্যু হয়েছে।
যে ঘর থেকে মৃতদেহগুলি উদ্ধার হয়েছিল সেখান থেকে পুলিশ একটি সুইসাইড নোটও উদ্ধার করে। যার ভিত্তিতে সম্পত্তি বিবাদের বিষয় সামনে আসে। এছাড়া নিজের মামা ও মামির বিরুদ্ধে মানসিক নির্যাতনের অভিযোগও এনেছিলেন সোমনাথ। সেই ভিত্তিতেই ওই দুজনকে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশের হাতে উঠে এসেছে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য। পেশায় অটোচালক সোমনাথের প্রতিবেশী এবং কয়েকজন অটোচালকের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ জানতে পেরেছে, সোমনাথের আড়াই বছরের ছেলে রুদ্রনীল জন্ম থেকেই কঠিন অসুখে আক্রান্ত। তাঁর চিকিৎসার খরচ জোগাড় করার জন্য কিছুদিন আগে নিজের একটি অটোও বিক্রি করে দিয়েছিলেন সোমনাথ। ফলে শুধুই মামার সঙ্গে সম্পত্তি গত বিবাদ নাকি সন্তান সুস্থ হবে না বুঝতে পেরেই সপরিবারে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত, তদন্তে এই দিকটিও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
এদিকে সোমনাথের মামার বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়া এবং ষড়যন্ত্রর অভিযোগ এনেছেন মৃত সুমিত্রার দিদি সুপর্ণা ভৌমিক। সুমিত্রার বাবা বিশ্বনাথ ভৌমিকও তাঁর মেয়ে, জামাই ও নাতিকে খুনের অভিযোগ এনেছেন। তবে তিনি নির্দিষ্ট করে কারও নাম উল্লেখ করেননি।