শেষ আপডেট: 3rd November 2024 16:51
দ্য ওয়াল ব্যুরো: কালীপুজোর আগেই বিবৃতি প্রকাশ করে কলকাতা পুলিশ জানিয়ে দিয়েছিল, সুপ্রিম কোর্ট এবং কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী সবুজ বাজি ফাটাতে হবে। বাজি ফাটানোর সময়সীমাও উল্লেখ করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কালীপুজোর রাত তো বটেই তারপরেও নিষেধাজ্ঞাকে কাঁচকলা দেখিয়ে দেদার নিষিদ্ধ বাজি ফাটছে।
শনিবারও এক নাগাড়ে বাজি ফাটছিল। শব্দের এমনই তাণ্ডব, বাধ্য হয়ে আর থাকতে না পেরে অশীতিপর দম্পতি তাঁদের আত্মীয়কে ফোন করে সমস্যার কথা জানান। তিনিই লালবাজারে ফোন করে অভিযোগ জানান।
ঢাকুরিয়ার আবাসনের বাসিন্দা ওই বৃদ্ধ দম্পতির আত্মীয়ের অভিযোগ, পুলিশ এসে পরিস্থিতি শান্ত করে। বন্ধ হয়ে বাজির তাণ্ডব। অন্তত ৪৫ মিনিট টহল দেওয়ার পর পুলিশকর্মীরা চলে যান। তার পরপরই আবার একই ঘটনা। বিকট শব্দে বাজি ফাটতে শুরু করে।
ধোঁয়ায়, আওয়াজে যখন ওই দম্পতি অসুস্থ হওয়ার উপক্রম, তখন বাধ্য হয়ে আবার লালবাজারে অভিযোগ জানানো হয়। আর তখনই স্থানীয় লেক থানার এক আধিকারিক ফোন করেন ওই প্রবীণ মানুষ এবং আত্মীয়কে। বিরক্তির সুরে প্রশ্ন করেন, কেন বারবার লালবাজারে ফোন করে ব্যস্ত করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, বৃদ্ধ দম্পতির আত্মীয়ের অভিযোগ, ওই আধিকারিক বাজির তাণ্ডব সহ্য করে নিতে বলেন। বারণ করে দেন যেন আর ফোন করে বিরক্ত না করা হয়।
প্রসঙ্গত, দীপাবলির রাত যত গভীর হয় ততই বেড়েছিল শব্দ দানবের লাফালাফি। ভয়াবহ অবস্থা ছিল কলকাতার। বাতাসে মানসূচক ছিল প্রায় ২০০ ছুঁইছুঁই। তথ্য বলে, শুধু মাত্র রাত ৯ টায় বাতাসের মানসূচক দাঁড়িয় ১৮৫। যা অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর বলে জানান পরিবেশবিদরা। সবথেকে খারাপ অবস্থা ছিল রবীন্দ্র সরোবরের।
কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা ক’দিন আগে কালীপুজোর প্রস্তুতি নিয়ে বৈঠকের পরে বলেছিলেন, 'আমরা অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নিই। ফলে বাজি আটকানোর জন্য যা পদক্ষেপের দরকার পুলিশ তা করবে।' একাধিক গ্রেফতারির খবর সামনে আসলেও বাস্তব ছবিটা পাল্টায়নি। এই ঘটনায় তা আরও একবার প্রমাণ হল।