শেষ আপডেট: 10th March 2025 14:05
দ্য ওয়াল ব্যুরো: সোমবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় (Jadavpur University) কর্তৃপক্ষ বৈঠকে ডেকেছিল। তার জন্যই ক্যাম্পাসে যান অধ্যাপক ওমপ্রকাশ মিশ্র (Om Prakash Mishra)। বামছাত্র সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রথমে তাঁকে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়েছিল। ব্যাপক বিক্ষোভ দেখানো হয়। কার্যত হাত জোর করে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন ওমপ্রকাশ। কিন্তু এরপর বিতর্ক আরও বাড়ে। কারণ ওমপ্রকাশের সঙ্গে ছিল কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police)! প্রায় নজিরবিহীন ভাবে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এদিন ঢুকেছে পুলিশের দল।
গত ১ মার্চ ওয়েবকুপার সভাকে কেন্দ্র করে যে ঘটনা ঘটেছিল যাদবপুরে তার জন্য এখনও প্রতিবাদ-বিক্ষোভ করছে বামছাত্র সংগঠন। আর সোমবার ক্যাম্পাসে পুলিশ ঢোকায় আরও উত্তেজনা বাড়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যাম্পাসে কেন পুলিশ ঢুকবে, সেই প্রশ্ন তুলে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে এসএফআই। জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে উর্দিধারী পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এদিকে ক্যাম্পাসে যারা ঢুকেছেন তাঁরা সাদা পোশাকে আছেন।
গন্ডগোলের দিন পুলিশ কোথায় ছিল, সেই প্রশ্ন যেমন তুলেছে এসএফআই, তেমনই ক্যাম্পাসে পুলিশ ঢোকার ঘটনায় চরম প্রতিবাদও তাঁরা দেখিয়েছে। সূত্রের খবর, সাদা পোশাকের পুলিশ ক্যাম্পাস থেকে সোজা ওমপ্রকাশ মিশ্রর বিভাগের ঘরে চলে যায়। এরপরই এসএফআই-এর প্রতিনিধি দল তাঁর ঘরে প্রবেশ করে। যদিও ওমপ্রকাশ সংবাদমাধ্যমে দাবি করেছেন, 'পুলিশ ঢোকার ব্যাপারে আমি কিছুই জানেন না। বৈঠকের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে শুধু জানিয়েছিলাম যে সোমবার আসব। বাইরে বা ভিতরে কারা আছে, সে সম্পর্কে কিছু জানি না।'
১ মার্চের ঘটনার দিনই খোদ শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেছিলেন, তিনি শিক্ষাগনে পুলিশি নিরাপত্তা চান না। অথচ সোমবার ওমপ্রকাশ মিশ্র যেতেই বিষয়টি বদলে গেল। এদিন সকাল থেকেই ক্যাম্পাসে সাদা পোশাকের পুলিশ ছিল। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের বক্তব্য, নিরাপত্তার স্বার্থে ক্যাম্পাসে পুলিশ ঢুকলে তাঁদের কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু এসএফআই-এর দাবি, শাসকদের লোকদের বাঁচাতেই ক্যাম্পাসে পুলিশ ঢুকেছে। এদিকে অধ্যাপক মিশ্রকে নিয়েও তাঁদের অভিযোগ শেষ হচ্ছে না।
এসএফআই বলছে, যাদবপুরের ঘটনার দিন বিক্ষোভরত ছাত্রীদের শ্লীলতাহানি করেছিলেন ওমপ্রকাশ! একই সঙ্গে, কয়েকজন ছাত্রের গায়ে হাত তুলতেও দেখা যায়। এই ধরনের অধ্যাপকরা ক্যাম্পাসে ঢুকলে পরিস্থিতি সবসময়ই খারাপের দিকে যাবে বলে দাবি তাঁদের। তবে ওমপ্রকাশ তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ খারিজ করে বলেন, তাঁকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা হচ্ছে। ঘটনার দিন তাঁকেই বরং শারীরিকভাবে হেনস্থা করেছিল পড়ুয়ারা।