শেষ আপডেট: 10th August 2024 08:42
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আরজিকরের মেডিক্যাল ছাত্রীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় শুক্রবার রাতেই খুনের মামলা রুজু করেছিল লালবাজার। সূত্রের খবর, ওই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে একজনকে আটক করেছে পুলিশ। তদন্তের স্বার্থে আটক ব্যক্তির পরিচয় সম্পর্কে এখনই মুখ খুলতে নারাজ তদন্তকারীরা। তবে পুলিশের একটি সূত্রের খবর, আটক ব্যক্তি বহিরাগত, হাসপাতালে তাঁর অবাধ যাতায়াত ছিল।
পুলিশের এক কর্তা বলেন, ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট খুনের ইঙ্গিত দিয়েছে। তদন্তে সম্ভাব্য সবদিকই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কথাবার্তায় অসঙ্গতি থাকায় একজনকে আটক করা হয়েছে।
সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে আরজিকরের ডাক্তারি পড়ুয়া, কর্মী-সহ বৃহস্পতিবার রাতের ডিউটিতে যাঁরা ছিলেন, তাঁদের মধ্যে ২৫জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। রাতে থানায় খুন ও ধর্ষণের অভিযোগ করেন নিহত ছাত্রীর বাবা।
লালবাজার সূত্রের খবর, হোমিসাইড শাখা এবং গোয়েন্দা বিভাগের দুঁদে অফিসারদের নিয়ে বিশেষ টিম গঠন করে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এখনও প্রকাশ্যে না এলেও পুলিশের একটি সূত্রের দাবি, মৃত ডাক্তারি ছাত্রীর যৌনাঙ্গ-সহ দেহের বিভিন্ন অংশে অন্তত ১০টি আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে প্রাথমিক রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, স্নাতকোত্তর স্তরে দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়া ওই ছাত্রী বৃহস্পতিবারও রাত ২টো পর্যন্ত হাসপাতালের ওয়ার্ডে ডিউটি করেন। পরে কর্মরত আরও দুই জুনিয়র ডাক্তারের সঙ্গে খাওয়াদাওয়া সেরে পড়াশোনার জন্য সেমিনার হলে যান ওই তরুণী। শুক্রবার সকালে সেমিনার হল থেকেই দেহ উদ্ধার হয় তাঁর।
প্রসঙ্গত, যে সেমিনার হল থেকে ছাত্রীর দেহ উদ্ধার হয়েছে সেখানে সিসিটিভি ক্যামেরা না থাকলেও সংশ্লিষ্ট হলের আশেপাশে অনেকগুলি সিসিটিভি রয়েছে। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে সেই সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে খতিয়ে দেখছেন অফিসাররা। ঠিক কোন সময় ওই ছা্ত্রী সংশ্লিষ্ট বিল্ডিংয়ে ঢুকেছিলেন, সেখান থেকে অন্যরা কখন বেরিয়েছিলেন তা খতিয়ে দেখে সম্ভাব্য অভিযুক্তদের চিহ্নিত করার কাজও শুরু হয়েছে।
পুলিশের একটি সূত্রের দাবি, সেমিনার হলের যে ম্যাট্রেস থেকে ছাত্রীর দেহ উদ্ধার করা হয়েছিল, সেই ম্যাট্রেসেও রক্তের দাগ মিলেছে। ছাত্রীর যৌনাঙ্গ এবং দুপায়েও রয়েছে রক্তের দাগ। যা থেকে শারীরিক অত্যাচারের অভিযোগও ক্রমেই জোরাল হচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে।
পুলিশের এক কর্তা বলেন, ময়নাতদন্তের পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট সামনে এলে শারীরিক নির্যাতনের মামলাও যুক্ত করা হতে পারে।