ছবি - শুভঙ্কর গোস্বামী
শেষ আপডেট: 18 March 2025 16:58
দ্য ওয়াল ব্যুরো: গত ১ মার্চ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে (Jadavpur University) শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে হেনস্থার অভিযোগে আগে ২ জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ (Kolkata Police)। ওয়েবকুপার সভাকে কেন্দ্র করে যে উত্তেজনা ছড়িয়েছিল তার জন্য একাধিক এফআইআরও দায়ের হয়েছে। তার ভিত্তিতেই মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০ জন পড়ুয়াকে থানায় (Jadavpur PS) তলব করা হয়েছে। তাঁরা সেই তলবে সাড়া দিয়ে হাজিরা দিয়েছেন। তবে যাদবপুর থানার বাইরে অবস্থান-বিক্ষোভ করছেন বাকি প্রতিবাদী পড়ুয়ারা।
১০ জন পড়ুয়াকে যাদবপুর থানার পুলিশ তলব করার পরই বিশ্ববিদ্যালয়ের বামপন্থী ছাত্র-ছাত্রীরা ক্যাম্পাস থেকে মিছিল করে থানা চত্বরে আসেন। তারপর সেখানেই অবস্থান-বিক্ষোভে বসেন। যদিও যে পড়ুয়ারা তলব পেয়েছেন তাঁরা জানিয়েছেন, আইন মেনেই চলতে চান তাঁরা। পুলিশের সঙ্গে পূর্ণ সহযোগিতা করবেন। একই সঙ্গে এও বলেন, এমন অনেকের কাছে পুলিশের চিঠি গেছে যারা যাদবপুরের প্রাক্তনী হলেও কলকাতাতেই থাকেন না। তবে যারা কলকাতাতে আছেন, তারা সকলেই সহযোগিতা করবেন।
প্রথমে সাহিল আলি নামে এক পড়ুয়াকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। তাঁর জামিন মঞ্জুর হয়েছে। পরে উজান নামের এক পড়ুয়াকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁরই মুক্তির দাবিতে এবং ১০ আরও পড়ুয়াকে তলবের বিরোধিতায় মঙ্গলবার মিছিল করে যাদবপুরের পড়ুয়াদের একাংশ। এছাড়া তাঁদের আরও দাবি, নয়া শিক্ষানীতি প্রত্যাহার করতে হবে। সংবাদমাধ্যমের একাংশকেই বয়কট করার দাবি তোলা হয়েছে।
যাদবপুরের পড়ুয়াদের আইনজীবী আবার পুলিশ-প্রশাসনের ওপর ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেন, মূলত ১ মার্চের ঘটনায় সকলকে তলব করা হচ্ছে। প্রতিদিনই কাউকে না কাউকে ডেকে পাঠানো হচ্ছে। তাঁর কথায়, ''মন্ত্রীমশাই গাড়ি চালিয়ে দিয়েছিলেন, আর ছাত্রদের বারবার হেনস্থা করা হচ্ছে। নিত্যনতুন কাউকে ডাকছে পুলিশ, অথচ পরে বলা হচ্ছে ইনভেস্টিগেশন অফিসার (আইও) নেই।'' এই প্রসঙ্গ তাঁর প্রশ্ন, আইও তিনি যদি নাই থাকেন, তাহলে কেন বারবার ডাকা হচ্ছে?