সায়নী ঘোষ
শেষ আপডেট: 10th April 2025 17:13
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ফিরহাদ হাকিম বলছেন, যোগ্য চাকরিহারারা অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের কথায় গ্যাস খাচ্ছেন, মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি আস্থা রাখা উচিত তাঁদের। পুলিশের নির্বিচারে লাঠি-লাথি মারার ব্যাপারে কুণাল ঘোষ, ব্রাত্য বসুরাও একই সুরে বলছেন, ডিআই অফিসে যাওয়াটা উচিত হয়নি চাকরিহারাদের। ব্যাপারটা রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশপ্রণোদিত, পরিকল্পিত। দলের একাংশ যখন একই ঢঙে সাফাই দিচ্ছেন, তখন তৃণমূল (TMC MP) সাংসদ সায়নী ঘোষের (Sayoni Ghosh) অবস্থান খানিকটা আলাদা। তিনি মনে করেন, পুলিশ-প্রশাসনের (Police) এ ব্যাপারে আরও মানবিক হওয়া উচিত।
কসবায় স্কুল পরিদর্শকের (ডিআই) সঙ্গে দেখা করে স্মারকলিপি দিতে চেয়েছিলেন চাকরিহারারা (SSC Job Cancel)। কিন্তু তিনি দফতরে ছিলেন না। অভিযোগ, আচমকা কয়েক জন বিক্ষোভকারী ডিআই দফতরের তালা ভেঙে ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করেন। পুলিশ জানায়, এই সময়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে 'হালকা বলপ্রয়োগ' করতে হয়েছে। সেই হালকা বল প্রয়োগের নমুনা, বেধড়ক মার, লাথি, ধাক্কা।
কলকাতা পুলিশের কমিশনার মনোজ বর্মা সাংবাদিক বৈঠক করে বলেছিলেন, "ওই ভাবে লাথি মারা কখনওই কাম্য নয়। পুলিশকর্মীদের বলাই হয়েছে, এ রকম যাতে কিছু না ঘটে।" কিন্তু নগরপালের বক্তব্য, যে ছবি-ভিডিও দেখানো হচ্ছে, তা সম্পূর্ণ নয়। আগে-পিছনে আরও কিছু রয়েছে। পুলিশেরও ছ'জন জখম হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে চার জন পুরুষ এবং দু'জন মহিলা। পরিস্থিতি বোঝানোর জন্য বৃহস্পতিবারও ভিডিও প্রকাশ করা হয়।
এই পরিস্থিতিতে যাদবপুরের সাংসদ সায়নীর বক্তব্য, "এটা হওয়া উচিত না। যে কোনও পরিস্থিতিতেই পুলিশের এমন আচরণ উচিত না। যাঁদের রুজি-রুটি চলে গেছে, যাঁরা যোগ্য প্রার্থী, যাঁদের রাজনীতির বলি হতে হচ্ছে, তাঁদের সঙ্গে এই মুহূর্তে আরও মানবিক হওয়া উচিত বলে আমার মনে হয়।"
বস্তুত, এসএসসির দুর্নীতি মামলায় সুপ্রিম কোর্টের রায়ে চাকরি হারিয়েছেন প্রায় ২৬ হাজার মানুষ। অভিযোগ, যোগ্য-অযোগ্য আলাদা করা যায়নি। ফলে ২০১৬ সালের সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিল করে দিয়েছে শীর্ষ আদালত। এর ফলে যোগ্যরাও অনেকে এখন চাকরিহারা। চাকরি ফেরানোর দাবিতে তাঁরা পথে নেমেছেন। আজও গোটা রাজ্য জুড়ে সেই বিক্ষোভ অব্যাহত।