শেষ আপডেট: 14th April 2025 13:31
দ্য ওয়াল ব্যুরো: দুটো স্বর আর তাদের বন্ধুত্ব নিয়েই অনুষ্ঠান দুই স্বরে দোসর। গানে শৌনক চট্টোপাধ্যায়। কবিতায় সাম্য কার্ফা। শৌনকের গানের সঙ্গে বন্ধুত্ব শুরু এক্কবারে ছোটবেলায়, শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে। আর সাম্যর কবিতার সঙ্গে বন্ধুত্ব শুরু ক্লাস ওয়ানে। ওঁদের এই আয়োজনে বিশেষ ভূমিকায় থাকবেন এই সময়ের আর এক খুবই পরিচিত গায়ক, সৃজন চট্টোপাধ্যায়। ওঁদের আর এক দোসর।
সাম্যর কথায়, ‘ছোটবেলায় তোতলা ছিলাম। মা তাই আবৃত্তির ক্লাসে ভর্তি করেছিল। কিন্তু ক্লাস হতো শনিবার বিকেলে। তখন আমার খেলার সময়। সাইকেল চালানোর সময়। সে সব ছেড়ে ক্লাস করতে যাব কেন?’
সেই ভাল না লাগাটা কখন যে ভাল লাগায় বদলে গেল, তা অবশ্য সাম্য জানেন না। তাই রসায়নে স্নাতকোত্তর করেও আবৃত্তিকেই জীবনের অন্যতম নেশা ও পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন সাম্য। এখন ওঁর কথায়, ‘কবিতাই আমার দোসর।’
তবে শৌনক মোটামুটি ছোট থেকেই এক প্রকার নিশ্চিত ছিলেন, যে গানকেই জীবনের দোসর হিসেবে বেছে নেবেন। তাই সেভাবেই পথ এগিয়েছেন।
দোসর-এর পয়লা বৈশাখের আসর সেই বন্ধুত্বই খুঁজবে। গানের সঙ্গে বন্ধুত্ব। কবিতার সঙ্গে বন্ধুত্ব।
শৌনক বলছেন, ‘এখন নাকি নাচের গান ছাড়া মানুষ শুনতেই আসেন না। সেটাই আমাদের চ্যালেঞ্জ। বাংলা নববর্ষের অনুষ্ঠানে তাই আমরা বাংলা সংস্কৃতির নানান অধরা ভাণ্ডারকে ছোঁয়ার চেষ্টা করব!’
যেমন, মঙ্গলকাব্য। সাধারণত মঙ্গলকাব্য মঞ্চে আবৃত্তি করা হয় না। সাম্য করবেন সেটাই। তখন পুরাতনী সুরে সঙ্গত করবেন সৃজন। শৌনক ধরবেন দাদাঠাকুরের বহু হারিয়ে যাওয়া গান। আবার কখনও বাংলা তেরো পার্বণের সুর-কথাও ফিরে ফিরে আসবে ওঁদের আয়োজনে।
পুরাতনের পাশাপাশি নতুনও থাকবে এই আসরে। সব মিলিয়ে নূতন ও সনাতনের মিশেলে জমে উঠবে বছরের প্রথম সন্ধে। জিডি বিড়লা সভাঘরে, সন্ধে ৬.৩০টা।