শেষ আপডেট: 8th April 2025 10:16
দ্য ওয়াল ব্যুরো: কলকাতার দ্য অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টসে চলছে অধ্যাপক বিশ্বতোষ সেনগুপ্তের ‘ক্রিয়েটিভ ফটোগ্রাফি ইউজিং এআই’ বিষয়ক অষ্টম একক প্রদর্শনী। গত ৪ এপ্রিল শুক্রবার, শুরু হয়েছে এই প্রদর্শনী। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ফটোগ্রাফিক অ্যাসোসিয়েশন অফ দমদমের (পিএডি) প্রেসিডেন্ট ডঃ অভয়নাথ গাঙ্গুলি সভাপতিত্ব করেছিলেন। এছাড়া সম্মানিত অতিথি হিসাবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি, PAD এর একজন পৃষ্ঠপোষক এবং WBCCERC এর চেয়ারম্যান, অসীম কুমার ব্যানার্জী। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান রাজা রামান্না চেয়ার প্রফেসর, দুর্গাপুর NIT এর প্রাক্তন ডিরেক্টর এবং আইআইটি খড়গপুরের প্রফেসর, শ্রীযুক্ত অনুপম বসুও উপস্থিত ছিলেন অনুষ্ঠানে৷
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (AI) এর প্রচার কিছু দিন আগে শুরু হলেও AI আবিষ্কার হয়েছিল 1950 এর দশকের মাঝামাঝি। আধুনিক বিশ্বে, AI এর প্রভাব রয়েছে সর্বত্র। এমনকি ফটোগ্রাফিও এর ব্যতিক্রম নয়। বর্তমানে বিভিন্ন AI সফ্টওয়্যারে মাধ্যমে নির্দিষ্ট প্রম্পটের সাহায্যে সঠিক কমান্ড দিয়ে, ব্যবহারকারী নিজের কল্পনার সাথে সামঞ্জস্য রেখে নানা আশ্চর্যজনক ছবি তৈরি করতে পারেন।
AI তে স্ব-শিক্ষিত, অধ্যাপক সেনগুপ্ত Dalle 3 এবং midjourney ব্যবহার করে যাত্রা শুরু করেছিলেন। পরবর্তীতে Leonardo AI এর মাধ্যমেই তার বেশিরভাগ শিল্পকর্ম তিনি তৈরি করেছেন।
AI যে কীভাবে তার অ-মানব মস্তিষ্কের সাহায্যে, ব্যবহারকারীর দেওয়া কিছু নির্দেশাবলী পাঠোদ্ধার করে, বিভিন্ন বিমূর্ত, আবেগপূর্ণ এবং কখনও কখনও অকল্পনীয় ভিজ্যুয়াল তৈরি করতে পারে তা দেখে প্রফেসর অভিভূত হয়েছেন।
তিনি বলেছেন যে এই প্রদর্শনীটি সৃজনশীল ফটোগ্রাফিতে AI এর ভূমিকার একটি নিরপেক্ষ ওভারভিউ। AI এর মাধ্যমে করা শিল্প কেমন তা নিয়ে ভাবনা ও আলোচনা করার জন্য দর্শকদের তিনি আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। স্বভাবতই এখানে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে - সৃজনশীলতা কি এখনও একচেটিয়াভাবে মানবিক থাকবে? মানুষের আবেগকে কি অ্যালগরিদমের মাধ্যমে চিত্তাকর্ষক ভিজ্যুয়াল ফর্মে অনুবাদ করা যাচ্ছে? আমরা কি বর্তমানে ভিজ্যুয়াল আর্টের একটি নতুন দৃষ্টান্ত প্রত্যক্ষ করার দ্বারপ্রান্তে উপস্থিত হয়েছি? প্রশ্ন থাকল, ভবিষ্যৎ এর উত্তর দেবে।
অধ্যাপক সেনগুপ্তের সৃজনশীল শৈলীর বেশিরভাগই গাণিতিক বিমূর্ত (Mathematical Abstract) এবং পরাবাস্তব (Surreal)। কারণ তিনি প্রকৃতই একজন স্বপ্নদ্রষ্টা। তিনি সেই বিরল প্রতিবাদের মধ্যে একজন যাঁরা বৈজ্ঞানিক অনুশাসনের সূক্ষ্মতা এবং পরিপূর্ণতাকে শৈল্পিক সৃজনশীলতা এবং কল্পনাপ্রসূত চাহিদার সাথে একত্রিত করতে পারেন।
প্রদর্শনীটি আগামী ১০ এপ্রিল পর্যন্ত প্রতিদিন বিকাল ৩টে থেকে রাত ৮টা অবধি খোলা থাকবে।