শেষ আপডেট: 6th January 2025 18:34
HMPV ভাইরাস নিয়ে আতঙ্ক বাড়ছে ক্রমাগত। চিন থেকে ভাইরাল হওয়া একাধিক ছবি, ভিডিও দেখে তো ভারতের মানুষের ঘুম উড়েছে। এরই মধ্যে দেশে ৪ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে বলে খবর। তাদের মধ্যে আবার একজন কলকাতার। যদিও ৬ মাসের ওই শিশু কয়েক সপ্তাহ আগে আক্রান্ত হয়েছিল বলে খবর। এখন সে হাসপাতাল থেকে ছাড়াও পেয়েছে সুস্থ হয়ে।
বেঙ্গালুরুতে ৩ এবং ৮ মাসের দুই শিশু এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। আহমেদাবাদে ২ মাসের শিশু আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলেছে। যদিও ইতিমধ্যে কর্নাটক প্রশাসন দাবি করেছে, এই ভাইরাসের সঙ্গে চিনের কোনও যোগ নেই। চিনা-প্রজাতির HMPV এদেশে ছড়িয়ে পড়েনি। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকেও এই বিষয়টি নিয়ে আতঙ্কিত না হওয়ার বার্তা দেওয়া হয়েছে। তবে পরপর এতগুলি শিশু আক্রান্ত হওয়ার খবরে সাধারণ মানুষ স্বাভাবিকভাবে ভীত।
সত্যিই কি এই ভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু আছে?
HMPV সংক্রমণের ইস্যু নিয়ে দ্য ওয়াল যোগাযোগ করেছিল পিয়ারলেস হাসপাতালের সিইও ডাঃ সুদীপ্ত মিত্রের সঙ্গে। তিনি এই ভাইরাস সংক্রমণ নিয়ে স্পষ্টত বলেন, ''আমরা প্রত্যেক বছরই পাই। শীতকালে দু-চারজন পেশেন্ট আসে। অত্যন্ত সাধারণ ভাইরাস। এটাতে কোনও অসুবিধা নেই। বাচ্চা, বয়স্কদের হয়।'' একইসঙ্গে তিনি এও জানান, ''এই ভাইরাসের সংক্রমণ যদি একবার হয় তাহলে ১০-১৫ বছর ইমিউনিটি থাকে। মৃত্যুর আশঙ্কাও থাকে না এই ভাইরাস সংক্রমণে।''
চিকিৎসকের কথায়, প্রত্যেক বছরের মতো এই বছরও ভাইরাসের সংক্রমণ দেখা যাচ্ছে। শীতকালে এই ভাইরাসের প্রকোপ বেশি দেখা যায়। তিনি জানিয়েছেন, বিগত কয়েক মাসে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে একাধিক রোগী এসেছেন। এই সময়ে, এই সিজনে এটা স্বাভাবিক।
এর কোনও ভ্যাকসিন নেই কিন্তু HMPV নিয়ে যে আতঙ্ক এখন সৃষ্টি হয়েছে তা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক বলেই দাবি করেছেন ডাঃ সুদীপ্ত মিত্র। আমজনতাকে সম্পূর্ণ অভয় দিয়ে তিনি বলেছেন, ''আমাদের বিন্দুমাত্র কোনও আতঙ্ক নেই। ভয় পাওয়ার বিষয়ও এটা নয়।''
কলকাতায় ৬ মাসের মুম্বই নিবাসী যে শিশু এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে বলে খবর বেরিয়েছে সে ডিসেম্বরে বাবা-মার সঙ্গে কলকাতায় এসেছিল। তারপরই তার হাঁচি, কাশি, গলা জ্বালার মতো উপসর্গ দেখা দেয়। এরপর ১০-১২ দিন ধরে তার চিকিৎসা চলে। বর্তমানে সে সুস্থ হয়ে মুম্বই ফিরে গেছে বলেই খবর।
সোমবারই HMPV নিয়ে রাজ্যের মানুষকে আশ্বস্ত করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি স্পষ্ট বলেন, এই ভাইরাস নিয়ে আতঙ্ক ছড়ানোর কারণ নেই। কোনও গাইডলাইন এলে রাজ্য সরকার তা মানবে। আর ইতিমধ্যে সতর্কতা অবলম্বন করে ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে। প্রশাসন প্রস্তুত।