শেষ আপডেট: 28th January 2025 13:24
দ্য ওয়াল ব্যুরো: "এসএসকেএম-এ থেকে আমি সুস্থ হচ্ছি না।" পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গলায় শোনা গেল সরকারি হাসপাতালের প্রতি তাঁর অনাস্থার কথা। এখন সুস্থ হতে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হতে চাইছেন নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী।
প্রাক্তন মন্ত্রী চাইছেন যে হাসপাতালে যথাযথ চিকিৎসা হবে সেখানেই যেন তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয়। এই মর্মে বিশেষ সিবিআই আদালতে আবেদন জানিয়েছেন পার্থর আইনজীবী। এর প্রেক্ষিতে এসএসকেএম কর্তৃপক্ষের কাছে প্রাক্তন মন্ত্রীর মেডিক্যাল রিপোর্ট তলব করেছে ব্যাঙ্কশাল আদালত।
গত সোমবার থেকে এসএসকেএমে ভর্তি রয়েছেন পার্থ। বৃহস্পতিবার রাতে তাঁকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়েছিল। জানা যাচ্ছে, এখনও সেখানেই রাখা হয়েছে তাঁকে। কারণ, শারীরিক অবস্থান আরও অবনতি হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রের খবর, প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর কিডনি ও ফুসফুসের সমস্যা ছিলই। বাড়তি বিড়ম্বনা হিসেবে ক্রিয়েটিনিন, পটাশিয়াম, সোডিয়ামের মাত্রাতে গোলমাল দেখা দেয়।
পরিস্থিতির জন্য অবশ্য পার্থর খাদ্যাভ্যাসকেই দায়ী করেছেন চিকিৎসকদের একাংশ। চিকিৎসকদের বক্তব্যের সঙ্গে সহমত জেল কর্তৃপক্ষও। তাঁদের মতে, এই বয়সেও খাদ্যাভ্যাসের ক্ষেত্রে পার্থর সংযমের অভাব রয়েছে, যা নানাবিধ শারীরিক অসুস্থতার একটা বড় কারণ।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত পার্থ গত আড়াই বছর ধরে জেলে। ২০২২ সালের ২২ জুলাই তাঁকে গ্রেফতার করেছিল কেন্দ্রীয় সংস্থা। ইডির পাশাপাশি পরে সিবিআইয়ের হাতেও গ্রেফতার হন পার্থ। জেলের ভিতর একাধিক বার তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। গ্রেফতারির পর ভুবনেশ্বর এমসে নিয়ে গিয়েও তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করায় ইডি। একাধিক বার তিনি শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে জামিনের আবেদনও করেছেন আদালতে।
প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সুপ্রিম কোর্ট আগেই পার্থকে জামিন দিয়েছিল। গত ১৩ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্ট জানায়, শর্তসাপেক্ষে ১ ফেব্রুয়ারির মধ্যে জামিন পাবেন পার্থ। চার্জ গঠন এবং গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষীদের বয়ান সংগ্রহ করা হয়ে গেলে তার আগেও জামিন পেতে পারেন তিনি। শীর্ষ আদালতের সেই নির্দেশই সোমবার কার্যকর করে বিচারভবন। কিন্তু সিবিআইয়ের মামলায় এখনও পার্থের জামিন হয়নি। ফলে এখনই তাঁর জেলমুক্তির সম্ভাবনা নেই।