শেষ আপডেট: 27th January 2025 11:51
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বাঘাযতীন, ট্যাংরা, বিধাননগর, বাগুইআটি, তপসিয়া, এন্টালির পর এবার কসবা। ফের বহুতল হেলে পড়ার ঘটনা সামনে এল।
কলকাতা পুরসভার ১০৭ নম্বর ওয়ার্ডের কসবার রাজডাঙায় একটি বহুতল দীর্ঘদিন ধরেই হেলে পড়েছে বলে বাসিন্দাদের অভিযোগ। অ্যাক্রোপলিস মলের পিছনেই রয়েছে এই বহুতল। বাসিন্দাদের অভিযোগ,কাউন্সিলর থেকে পুলিশ সকলকে অভিযোগ জানিয়েও সমস্যার সুরাহা হয়নি। ঠিকাদারও ফ্ল্যাট বিক্রির পর থেকে আর দায় নিচ্ছেন না। ফলে ফ্যাসাদে পড়েছেন বাসিন্দারা।
বাসিন্দাদের অভিযোগ, বহুতলটি ডানদিকে মাটি থেকে উচ্চতা যেখানে প্রায় ১১ ফুট, সেখানে বাড়ির বাঁ দিকের অংশের উচ্চতা সাকুল্যে ৬ ফুট। আতঙ্কে সংশ্লিষ্ট ফ্ল্যাটের একাংশ বাসিন্দা অন্যত্র থাকছেন। আবার যাদের উপায়ন্তর নেই তাঁরা প্রাণ হাতে করে রয়েছেন ওই ফ্ল্যাটে। যদিও বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় কাউন্সিলর লিপিকা মান্না।
এর আগে বাঘাযতীন, ট্যাংরা, বিধাননগর, বাগুআটি, তপসিয়া- শহরের একের পর এক এলাকায় বহুতল হেলে পড়ার ঘটনা সামনে এসেছে। পরিস্থিতির জন্য পুরসভা এবং ঠিকাদারদের যোগসাজশকেই দায়ী করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
যদিও গত শুক্রবারই এ ব্যাপারে পুরসভার অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। মেয়র বলেন, "মিডিয়ার মাধ্যমে সবাইকে বলছি, ফ্ল্যাট কেনার আগে দেখে নিন, সব দায়িত্ব আমাদের নয়।"
ফিরহাদের কথায়, "চুরির মাল যে কেনে পুলিশ কি তাকে ছেড়ে দেয়? তার বিরুদ্ধেও তো ব্যবস্থা গ্রহণ করে! তাই কেনার আগে মানুষকে নিজেকে দেখতে হবে। কষ্টের টাকা এভাবে জলে যাক, আমরাও চায় না।"
ফ্ল্যাট কেনার আগে কী কী দেখে নিতে হবে, তাও জানিয়েছেন ফিরহাদ। কলকাতার মেয়র বলেন, যে জমিতে ফ্ল্যাট তৈরি হয়েছে, তাঁর নক্সা-সহ প্রয়োজনীয় অনুমতি রয়েছে কিনা সেটা দেখা দরকার ক্রেতাদেরও। একই সঙ্গে ঠিকাদারের নাম রেজিস্টারে রয়েছে কিনা, সেটাও পুরসভা থেকে খোঁজ নেওয়া দরকার।
ফিরহাদের কথায়, "এমন অনেক বহুতলের ঘটনা সামনে আসছে যেগুলো আমাদের আমলের আগে তৈরি হয়েছে। গার্ডেনরিচের ঘটনার পর থেকে বেআইনি নির্মাণের বিষয়ে আমরা সতর্ক রয়েছি। এজন্য রোস্টারও তৈরি করা হয়েছে। তারপরও বেআইনি নির্মাণ চোরাগোপ্তাভাবে হলে জনগণকেও কেনার সময় সতর্ক থাকতে হবে।"