দ্য ওয়াল ব্যুরো: মধ্যশিক্ষা পর্ষদের (WBBSE) আর্জিতে সাড়া দিয়ে এসএসসি মামলায় (SSC Case) চাকরিহারাদের বড় স্বস্তি দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। বলা হয়েছে, ২৬ হাজার শিক্ষকদের মধ্যে যাঁদের 'অযোগ্য' বলে শনাক্ত করা গেছে, তাঁদের বাদ দিয়ে বাকিরা আপাতত চাকরিতে বহাল থাকবেন। ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত চাকরি করতে পারবেন রাজ্যের 'যোগ্য' চাকরিহারা শিক্ষকরা। কিন্তু গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি-র শিক্ষাকর্মীদের নিয়ে কোনও নির্দেশ শীর্ষ আদালত দেয়নি। এই ইস্যুতেই শুক্রবার রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর (Bratya Basu) সঙ্গে দেখা করতে যান শিক্ষাকর্মী সংগঠনের প্রতিনিধি দল। কিন্তু সেখানেও বিতর্ক দেখা দিয়েছে। 

রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে একদল দেখা করেছে। কিন্তু তৃণমূল ভবনের বাইরে আরও একদলকে কার্যত ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায়। ব্রাত্য বসু অবশ্য পরে তাঁদের সঙ্গে কথা বলে আলাদা করে দেখা করবেন বলে আশ্বাস দেন। সংবাদমাধ্যমে এও জানান, আগামী ২১ এপ্রিল যে তালিকা প্রকাশ করার চেষ্টা করা হচ্ছে তা প্রকাশ পাবে সেটাই আশা করছেন তাঁরা। আইন অনুযায়ী যা করার তাই করা হচ্ছে। কিন্তু এখন প্রশ্ন হল, একদল চাকরিহারা শিক্ষাকর্মী দেখা করলে কারা প্রতিবাদ দেখাচ্ছিলেন? 

ওই চাকরিহারা প্রতিনিধি দলের দাবি, 'অযোগ্য' বলে দাগিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে তাঁদের! শিক্ষাকর্মী সংগঠনের মধ্যে ভাগাভাগি রয়েছে আর কোপ পড়ছে তাঁদের ওপর! সংবাদমাধ্যমে এমনই এক চাকরিহারা শিক্ষাকর্মী বলেন, ''টেন্টেড কথাটা প্রমাণিত এখনও হয়নি আর আদালতও বলেনি। আমরা অযোগ্য তার প্রমাণ কেউই দিতে পারেনি। তাই মনে করি, যে রায় দেওয়া হয়েছে তা রাজনৈতিক অভিসন্ধি নিয়ে দেওয়া হয়েছে।'' তাঁর সাফ কথা, শিক্ষাকর্মী সংগঠনের মধ্যে বিভেদ রয়েছে। কেউ কেউ চিৎকার করে অন্যদের দাবিয়ে রাখতে চাইছে। 

রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থার কথা মাথায় রেখে সুপ্রিম কোর্টে বিশেষ আর্জি জানিয়েছিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। আর্জি ছিল, যাঁরা 'টেন্টেড' বা ‘অযোগ্য হিসাবে চিহ্নিত’ নন, আপাতত তাঁদের চাকরি বহাল থাক। সেই পরিপ্রেক্ষিতেই শিক্ষকদের বহাল রাখার এই রায় দিয়েছে শীর্ষ আদালত।

দুর্নীতির অভিযোগে এসএসসির ২০১৬ সালের সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিল হওয়ায় ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের চাকরি গেছে। এঁদের মধ্যে ‘চিহ্নিত অযোগ্য’ রয়েছেন প্রায় হাজার আটেক শিক্ষক। চাকরি বাতিলের পাশাপাশি তাঁদের বেতনও ফেরত দিতে বলা হয়েছে। দেশের সর্বোচ্চ আদালতের সিদ্ধান্ত, অযোগ্য হিসেবে চিহ্নিতরা বাদ দিয়ে বাকিরা চাকরি করবেন পরবর্তী নিয়োগের আগে পর্যন্ত। সেই তারিখটা ৩১ ডিসেম্বর বলেই জানিয়ে দিয়েছে আদালত।