শেষ আপডেট: 25th March 2024 18:03
দ্য ওয়াল ব্যুরো: দোলের দিন মর্মান্তিক খবর। কলকাতার মা উড়ালপুল থেকে উদ্ধার হল এক যুবকের মৃতদেহ। তাঁর পোশাকে লেগেছিল রঙ এবং মাথায় আঘাতের চিহ্ন ছিল বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। কী ভাবে ওই যুবকের মৃত্যু হয়েছে তা এখনও নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, দুর্ঘটনার কারণেই মৃত্যু।
এজেসি বোস রোড থেকে পার্ক সার্কাসের দিকে যাওয়ার যে উড়ালপুল সেখান থেকেই এই যুবকের দেহ উদ্ধার হয়েছে। ঘটনাস্থলে যুবকের দেহ মুখ থুবড়ে পড়েছিল। এবং তার পাশে একটি মোটরবাইকও পাওয়া গেছে। সেই প্রেক্ষিতেই পুলিশের অনুমান, কোনও দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল ওই যুবক। কিন্তু কী ভাবে তা ঘটল তা বোঝা যাচ্ছে না। মনে করা হচ্ছে, ওই যুবক মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন। বাইক নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরেই উড়ালপুলের রেলিংয়ে ধাক্কা মারেন। তাতেই মৃত্যু। পুলিশ ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। যুবকের পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে।
যুবকের দেহ উদ্ধার করে চিত্তরঞ্জন মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। দুর্ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখতে পারে পুলিশ। এমনিতেই দোলের দিন শহরে বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা থাকে। কোথাও যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, তা নিশ্চিত করতে জায়গায় জায়গায় মোতায়েন থাকে পুলিশ। এরই মধ্যে মা উড়ালপুলে দুর্ঘটনার খবর সামনে এল।
তবে এই প্রথমবার যে মা উড়ালপুলে দুর্ঘটনা ঘটেছে এমনটা নয়। এর আগেও একাধিকবার বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালানোর জন্য মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে সেখানে। উড়ালপুলের উপর কিছুদূর অন্তর অন্তর স্পিড লিমিটের সাইনবোর্ড রয়েছে ঠিকই, কিন্তু এটা স্পষ্ট যে অনেকেই তা গ্রাহ্য করেন না। তাই ঘটে যায় মর্মান্তিক ঘটনা।
মা উড়ালপুলের নজরদারিতে আরও জোর দেওয়ার উদ্যোগ আগেই নিয়েছিল কলকাতা পুলিশ। উড়ালপুলের এক কিলোমিটার অন্তর একজন করে পুলিশ কর্মী থাকবে বলে জানানো হয়েছিল। সবমিলিয়ে ১০ থেকে ১২ জন পুলিশ কর্মী উড়ালপুলের ওপর নজরদারি চালানোর কথা। উড়ালপুলের ওপরেই তৈরি হয়েছে ৬টি কিয়স্ক। কিন্তু কলকাতার দীর্ঘতম ফ্লাইওভার মা উড়ালপুলে দুর্ঘটনা কিছুতেই যেন এড়ানো যাচ্ছে না।