ন্যাশনাল ইকোনমিক রেস্টুরেন্ট
শেষ আপডেট: 5 May 2025 15:15
উত্তর কলকাতার এই দোকানে এখনও পাউরুটির টোস্ট পাওয়া যায় মাত্র ৭ টাকায়। বিশ্বাস হচ্ছে না! আমারও হচ্ছিল না, তাই চলে গেলাম যাচাই করে দেখতে। পুরনো কলকাতায় যখন রকের আড্ডার চল ছিল, তখন এমন অনেক চায়ের দোকান ছিল যেখানে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলত সব বয়েসের মানুষের নানা ধরনের আড্ডা। সময়ের চাকা ঘুরেছে কিন্তু এখনও পুরনো কলকাতার কিছু কিছু চায়ের দোকানে সময় যেন থমকে রয়েছে।
তেমনই একটা দোকান শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড়ের ন্যাশনাল ইকোনমিক রেস্টুরেন্ট। ১০৫ বছরের পুরনো এই দোকান শুরু হয়েছিল লালবিহারী বসাক, জহরলাল বসাকের হাত ধরে। পরে মধুসূদন বসাকের হাতে যায় এই দোকানের মালিকানা। সে সময় মধুবাবুর দোকানে চা টোস্ট সহযোগে তর্ক জমাতেন নামীদামি মানুষজন। একে উত্তর কলকাতার চায়ের দোকান, তার উপর আবার কবি, শিল্পী, সাংবাদিক বিজ্ঞানী, সংগ্রামীদের যাতায়াত। বুঝতেই পারছেন, তখনকার এই দোকানটি আজও অনেক ইতিহাসের সাক্ষী।
'ন্যাশনাল ইকোনমিক রেস্টুরেন্ট'-এ ইতিহাসের স্বাদ এখনও জিভের ডগায়#kolkatafood #KolkataCafeCulture #Kolkataoldeateries #thewallnews pic.twitter.com/QsTK4d8EOV
— The Wall (@TheWallTweets) May 2, 2025
সেই কড়ি-বর্গার ছাদ, চুন খসে পড়া দেওয়াল, বড় বড় সিলিং পাখা, কাঠের চেয়ার টেবিল, এখনও একই রকম। ছোট থেকে বড়, সব পরপর টেবিলে বসে চুমুক দিচ্ছে চায়ে আর আলোচনা হচ্ছে গভীর থেকে গভীরতর। আবার দেখলাম চলছে এক জুটির প্রি-ওয়েডিং শ্যুটও। কী কন্ট্রাস্ট ।
পুরনো দিনের টোস্টারে সারি সারি পাউরুটি সাজানো। সাদা পাউরুটি ভেতরে ঢুকছে আর বেরোচ্ছে একদম লালচে হয়ে। দেখে লোভ লাগতেই অর্ডার দিলাম চা, টোস্ট, অমলেট আর জেলি টোস্ট। টোস্টে এক কামড় দিয়ে চুমুক দিলাম চায়ে। আহা সত্যিই অসাধারণ স্বাদ। সবটা চেটেপুটে খেয়ে ঝোড়ো হাওয়া সঙ্গে করে হাঁটা দিলাম ফিরতি পথে। তবে একটা কথা এখনও কানে বাজছে, চায়ে গরম...চায়ে গরম...