Date : 21st May, 2025 | Call 1800 452 567 | info@thewall.in
৫০০ মিসড কল, চার দিন ফোন বন্ধ! খ্যাতির বিড়ম্বনা সামলে কীভাবে বাইশ গজে রাজ করলেন বৈভব?Gold-Silver Price: বুধবার ফের বাড়ল সোনার দাম, এক লক্ষের গণ্ডি ছুঁল রুপো, আজ কলকাতায় কত? রাহুল, সনিয়া ন্যাশনাল হেরাল্ডের ১৪২ কোটি টাকা অবৈধভাবে পেয়েছেন, দাবি ইডিরমহিলা সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মানহানিকর পোস্ট, ৫ ঘণ্টার মধ্যে মুছতে অভিজিৎ মিত্রকে নির্দেশ কোর্টের'মুর্শিদাবাদে ক'জন গেছিলেন?' তৃণমূল সাংসদদের কাশ্মীর সফরকে কটাক্ষ করে প্রশ্ন দিলীপেরIPL 2025: মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আজ বরুণদেবের আশীর্বাদও প্রয়োজন দিল্লিরকেএল রাহুলকে নিয়ে গর্বিত শ্বশুর সুনীল, তাও বললেন, 'ও বিরাটের রেকর্ড কখনও ভাঙতে পারবে না''সর্ষের মধ্যে ভূত আছে', ভোটার লিস্ট নিয়ে প্রশাসনকে সতর্ক করলেন মুখ্যমন্ত্রীIPL 2025: ‘আমরা সবার শেষে থাকার যোগ্য’, রাজস্থান ম্যাচ হেরে ব্যর্থতা মেনে নিলেন ফ্লেমিংED Raid: ডিজিটাল অ্যারেস্টকাণ্ডে কলকাতার তিন ঠিকানায় ইডি অভিযান
North Kolkata 105 Years Old Tea Shop

উত্তর কলকাতার এই চায়ের দোকানে সময় যেন থমকে আছে, ৭ টাকার টোস্ট দিয়ে এক কাপ চা খেতেই হবে

উত্তর কলকাতার এই দোকানে এখনও পাউরুটির  টোস্ট পাওয়া যায় মাত্র ৭ টাকায়।

উত্তর কলকাতার এই চায়ের দোকানে সময় যেন থমকে আছে, ৭ টাকার টোস্ট দিয়ে এক কাপ চা খেতেই হবে

ন্যাশনাল ইকোনমিক রেস্টুরেন্ট

শেষ আপডেট: 5 May 2025 15:15

শ্রেয়া দাসগুপ্ত 

উত্তর কলকাতার এই দোকানে এখনও পাউরুটির  টোস্ট পাওয়া যায় মাত্র ৭ টাকায়। বিশ্বাস হচ্ছে না! আমারও হচ্ছিল না, তাই চলে গেলাম যাচাই করে দেখতে। পুরনো কলকাতায় যখন রকের আড্ডার চল ছিল, তখন এমন অনেক চায়ের দোকান ছিল যেখানে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলত সব বয়েসের মানুষের নানা ধরনের আড্ডা। সময়ের চাকা ঘুরেছে কিন্তু এখনও পুরনো কলকাতার কিছু কিছু চায়ের দোকানে সময় যেন থমকে রয়েছে। 

তেমনই একটা দোকান শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড়ের ন্যাশনাল ইকোনমিক রেস্টুরেন্ট। ১০৫ বছরের পুরনো এই দোকান শুরু হয়েছিল লালবিহারী বসাক, জহরলাল বসাকের হাত ধরে। পরে মধুসূদন বসাকের হাতে যায় এই দোকানের মালিকানা। সে সময় মধুবাবুর দোকানে চা টোস্ট সহযোগে তর্ক জমাতেন নামীদামি মানুষজন। একে উত্তর কলকাতার চায়ের দোকান, তার উপর আবার কবি, শিল্পী, সাংবাদিক বিজ্ঞানী, সংগ্রামীদের যাতায়াত। বুঝতেই পারছেন, তখনকার এই দোকানটি আজও  অনেক ইতিহাসের সাক্ষী। 

সেই কড়ি-বর্গার ছাদ, চুন খসে পড়া দেওয়াল, বড় বড় সিলিং পাখা, কাঠের চেয়ার টেবিল, এখনও একই রকম। ছোট থেকে বড়, সব পরপর টেবিলে বসে চুমুক দিচ্ছে চায়ে আর আলোচনা হচ্ছে গভীর থেকে গভীরতর। আবার দেখলাম চলছে এক জুটির প্রি-ওয়েডিং শ্যুটও। কী কন্ট্রাস্ট । 

পুরনো দিনের টোস্টারে সারি সারি পাউরুটি সাজানো। সাদা পাউরুটি ভেতরে ঢুকছে আর বেরোচ্ছে একদম লালচে হয়ে। দেখে লোভ লাগতেই অর্ডার দিলাম চা, টোস্ট, অমলেট আর জেলি টোস্ট। টোস্টে এক কামড় দিয়ে চুমুক দিলাম চায়ে। আহা সত্যিই অসাধারণ স্বাদ। সবটা চেটেপুটে খেয়ে ঝোড়ো হাওয়া সঙ্গে করে হাঁটা দিলাম ফিরতি পথে। তবে একটা কথা এখনও কানে বাজছে, চায়ে গরম...চায়ে গরম...


ভিডিও স্টোরি