শেষ আপডেট: 18th February 2025 20:50
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আদালতের নিযুক্ত কমিটির রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত কলকাতার কোনও ট্রামলাইন বন্ধ করা যাবে না। মঙ্গলবার ট্রাম সংক্রান্ত মামলায় একথা স্পষ্ট করে জানিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি চৈতালি চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ।
আদালত জানিয়েছে, এভাবে কলকাতার ঐতিহ্যকে নষ্ট হতে দেওয়া যাবে না। কীভাবে ট্রামকে রক্ষা করা যায়, এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকেই ব্যবস্থা করতে হবে। একই সঙ্গে কাদের নির্দেশে খিদিরপুরে ট্রামলাইন বন্ধ করা হয়েছে, তা খতিয়ে দেখার জন্য কলকাতা পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। দু’সপ্তাহ পরে মামলায় পরবর্তী শুনানি হবে।
তথ্য বলছে, একসময় কলকাতায় গমগম করে ট্রাম চলত ২৭-২৮টি রুটে। বছর ১৫ আগেও এক ডজন রুটে সচল ছিল ট্রাম। ট্রামের টিংটিং ঘণ্টিতে, কাঠের সিটে, শেষ আসনে বসে খাওয়া বাদামভাজার খোলসে যে কত সুখদুঃখ-হাসিকান্না জমে আছে, তার ইয়ত্তা নেই। দেড় শতক ধরে শহরের নস্টালজিয়া বহন করা সেই ট্রাম নিয়েই ইদানিং অভিযোগের অন্ত নেই।
প্রায়ই অভিযোগ ওঠে, ট্রামলাইনের জন্য দুর্ঘটনা ঘটার। জনসংখ্যার তুলনায় রাস্তা অনেক কম। সময়ের সঙ্গে মানুষের ব্যস্ততাও যেন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। ফলে কালো ধোঁয়া উড়িয়ে, জোরালো শব্দ করে, গাঁকগাঁক করে ছুটে চলা গতির যুগে বড্ড বেমানান ট্রাম। তার শ্লথ গতি, বড়সড় চেহারা, নিজের পথে নিজের মতো দূষণহীন চলা-- এসবই যেন বড় বিড়ম্বনার কারণ। তাই শেষমেশ ট্রামকে বিদায় জানানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।
এরপরই আদালতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। তারই ভিত্তিতে আদালত বিশেষ কমিটি তৈরি করে দিয়েছিল। ওই কমিটির রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত ট্রাম তোলা যাবে না বলে জানিয়ে দিল আদালত।