বিকাশ ভবনের সামনে আন্দোলনকারী এবং এফআইআর-এ নাম থাকা কোনও শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করতে পারবে না পুলিশ (Police)। তদন্ত চলবে, কিন্তু পুলিশকে 'ধীরে চলো' নীতি নিয়ে চলতে হবে। এমনই নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ।
কলকাতা হাইকোর্ট ও এসএসসি
শেষ আপডেট: 23 May 2025 13:13
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বিকাশ ভবনের সামনে (Bikash Bhavan) আন্দোলনকারী (SSC Job Deprived Teachers) এবং এফআইআর-এ নাম থাকা কোনও শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করতে পারবে না পুলিশ (Police)। তদন্ত চলবে, কিন্তু পুলিশকে 'ধীরে চলো' নীতি নিয়ে চলতে হবে। এমনই নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Kolkata High Court) বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ (Justice Tirthankar Ghosh)।
শুক্রবার হাইকোর্ট জানিয়েছে, 'যোগ্য' শিক্ষক-শিক্ষিকা অধিকার মঞ্চ ২০১৬-র সদস্যরা সেন্ট্রাল পার্কের সুইমিং পুল লাগোয়া অঞ্চলে অবস্থান বিক্ষোভ করতে পারবেন। পর্যায়ভিত্তিক ২০০ জন ব্যক্তি থাকতে পারবেন। সম্ভব হলে প্রশাসন অস্থায়ী তাঁবু বানিয়ে দেবে। তাছাড়া বায়ো টয়লেট, পানীয় জলের ব্যবস্থাও করতে হবে প্রশাসনকে।
মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে যে শোকজ নোটিস জারি করা হয়েছে সেটাও কার্যকর করা যাবে না বলে জানিয়েছে হাইকোর্ট। বলেছে, মঞ্চের তরফ থেকে ১০ জনের নাম পুলিশকে দিতে হবে।
বস্তুত, বিকাশ ভবনের সামনে আন্দোলনরত চাকরিহারাদের একাংশকে চিহ্নিত করে শোকজ করেছিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। সাত দিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়। শিক্ষা দফতরের কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়ার পরেই এই পদক্ষেপ করে পর্ষদ।
বিকাশ ভবনের সামনে চাকরিহারাদের বিক্ষোভ নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিল রাজ্য। রাজ্যের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় সওয়াল করেন, যোগ্য শিক্ষকেরা ওই বিক্ষোভ কর্মসূচি করছিলেন। সেখানে মামলাকারী তো গ্রুপ ডি কর্মী। তিনি ওই কর্মসূচিতে কী করছিলেন?
রাজ্য আরও জানায়, সে দিনের বিক্ষোভের ঘটনায় ২২ জন পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন। বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির ফলে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন ১৯ জন সাধারণ মানুষ। ওই এলাকায় তো শুধু বিকাশ ভবন নয়, অনেক সরকারি দফতর রয়েছে।
পাল্টা পুলিশের বিরুদ্ধে অতিসক্রিয়তার অভিযোগ তুলে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন বিক্ষোভকারী শিক্ষকদের একাংশ। তাঁদের অভিযোগ, বিকাশ ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচিতে আন্দোলনকারীদের মারধর করেন তৃণমূল সমর্থকেরা। এর পরই শিক্ষকদের একাংশকে মামলা দায়ের করতে অনুমতি দেয় হাইকোর্ট।
বস্তুত, বিকাশ ভবনের সামনে অবস্থান-বিক্ষোভ করছেন চাকরিহারা শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীরা। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে তাঁরা চাকরি হারিয়েছেন। ২০১৬ সালের এসএসসি নিয়োগপ্রক্রিয়ায় যোগ দিয়েছিলেন তাঁরা। গত বৃহস্পতিবার এই আন্দোলনস্থলে ধস্তাধস্তির পরিস্থিতি তৈরি হয়। আন্দোলনকারীদের উপর লাঠি চালানোর অভিযোগ ওঠে পুলিশকর্মীদের বিরুদ্ধে। যদিও এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতিম সরকার জানিয়ে দেন, পুলিশ যথেষ্ট ধৈর্য দেখিয়েছিল। আইনশৃঙ্খলা নষ্ট হয়েছে বলেই বাধ্য হয়ে পুলিশ পদক্ষেপ করে।