শেষ আপডেট: 5th October 2024 17:55
দ্য ওয়াল ব্যুরো: দুর্গাপুজোর ক'দিন কে কোথায় কী খাবেন তার পরিকল্পনা শুরু হয়ে যায় বহু আগে থেকেই। সেই ভাবগতিক বুঝেই পুজোর আগে বিরিয়ানি মামলা দায়ের হল হাইকোর্টে। শুনানির পর নির্দেশও দিলেন বিচারপতি কৃষ্ণা রাও। আরসালান বিবিয়ানির মালিকদের দায়ের করা এই মামলায় বিচাপতি জানিয়ে দিলেন এই ব্র্যান্ডের নাম ব্যবহার করে অন্য কেউ ব্যবসা করতে পারবে না।
আবেদনকারীর তরফে দাবি করা হয় আরসালানের নিজস্ব রেজিস্টার্ড লোগো ও নামের ব্র্যান্ড আছে। কিন্তু নামের আগে ও পরে অন্য শব্দ ব্যবহার করে তাঁদের ব্র্যান্ড ব্যবহার করছে কিছু খাদ্য প্রস্তুতকারী সংস্থা। যার সঙ্গে এই প্রতিষ্ঠানের কোনও সম্পর্ক নেই। সংস্থার আইনজীবী জানান, ওই নকল ব্র্যান্ডের বিরিয়ানি খেয়ে যদি মানুষ অসুস্থ হয় সেক্ষেত্রে তা প্রতিষ্ঠানের
নামের পক্ষে ক্ষতিকারক। এইরকম ১৪ টি প্রতিষ্ঠানকে মামলায় সংযুক্ত করা হয়।
যদিও মামলায় সংযুক্ত এই সমস্ত প্রতিষ্ঠানের আইনজীবীরা এই অভিযোগ মানতে নারাজ। তাঁদের দাবি, নামের আগে ও পরের শব্দই প্রমাণ করে আবেদনকারীর প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অন্য কারও কোনও যোগ নেই।
এই মামলার শুনানি শেষে বিচারপতি কৃষ্ণা রাও তাঁর নির্দেশে জানান, 'আরসালান' ছাড়া অন্য কোনও প্রতিষ্ঠান কোনও শব্দের আগে ও পরে আরসালান শব্দটি ব্যবহার করতে পারবে না। বিচারপতি আরও জানান, কোনও খাদ্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান প্রকৃত সংস্থা ছাড়া ওই নামে অন্য কোনও দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠানের বিরিয়ানি সরবরাহ করতে পারবে না।
কলকাতা ও লাগোয়া এলাকায় এখন যত্রতত্র বিরিয়ানির দোকান। তাদের মধ্যে অনেক দোকান আগে-পরে শব্দ বসিয়ে দেদার ব্যবহার করছে আরসালান নামটি। ফলে কোনটা আসল ও কোনটা নকল তা নিয়ে ধন্দে পরে যাচ্ছেন বিরিয়ানি রসিক মানুষজন। অভিযোগ, খাবারের গুণগত মানের দিক দিয়ে আসল দোকানের আশেপাশেও নেই তাঁরা। কিন্তু নাম ব্যবহার চলছেই। এটা রুখতেই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন আরসালান বিরিয়ানির মালিক। হাইকোর্টের রায়ে এবার এমন যথেচ্ছ নাম ব্যবহার বন্ধ হয় কিনা সেটাই এখন দেখার।