শেষ আপডেট: 8th March 2025 15:46
দ্য ওয়াল ব্যুরো: সাইবার প্রতারকদের (Cyber Crime) পাল্লায় পড়ে কয়েক বছরে কোটি কোটি টাকা খুইয়েছেন কলকাতার অধিকাংশ মানুষ। কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) বজ্রআঁটুনিতেও জালিয়াতিতে রাশ টানা যাচ্ছে না। আর সেই কারণেই সাইবার জালিয়াতি রুখতে আগামী মন্ত্রিসভার বৈঠকে (Cabinet Meeting) প্রস্তাব রাখতে চলেছে কলকাতা পুলিশ।
শনিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এ ব্যাপারে নগরপাল মনোজ ভার্মা (Manoj Verma) জানান, জয়েন্ট সিপি সাইবার এবং জয়েন্ট লিগাল সাইবার হিসেবে দু'টি নতুন পদ তৈরি করা হচ্ছে। আগামী মন্ত্রীসভার বৈঠকে এই প্রস্তাব পাশও হয়ে যেতে পারে বলে আশা করছেন তিনি।
সিপির কথায়, "সাইবার উইং যেটা আছে সেটাকে বিভিন্নভাবে ভাগ করা হচ্ছে। কারণ, যেভাবে অপরাধের সংখ্যা বাড়ছে তাতে উইংকে ভাগ করা ছাড়া উপায় নেই। সাইবার সেলকে ছোট ছোট সেলে ভাগ করা হয়েছে। ডিসি সাইবার ছিলেন, তাঁর উপর জয়েন্ট সিপি সাইবার পদও তৈরি করা হয়েছে। আশা করছি এইভাবে আমরা সাইবার অপরাধ অনেকটাই কমাতে পারব।"
বস্তুত, সাইবার অপরাধের সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে, সাইবার ক্রাইমের পাল্লায় পড়ে কোটি কোটি টাকা হারনো মানুষের সংখ্যাও বাড়ছে। যদিও পুলিশ এবং গোয়েন্দাদের তৎপরতায় অনেক ক্ষেত্রেই সেই টাকা প্রতারকদের কাছে পৌঁছাচ্ছে না। আদালতের নির্দেশ মোতাবেক সেই অর্থ প্রাপকের কাছে ফেরতও দিচ্ছে পুলিশ। কিন্তু তারপরেও অভিযোগ উঠেছে, অনেক ক্ষেত্রেই সেই টাকা ফেরত পেতে প্রচুর ঝক্কি পোহাতে হচ্ছে প্রতারিতদের।
সিপি জানান, "আটকে যাওয়া টাকা দ্রুত ও বিনা বাধায় প্রতারিতদের ফেরত দিতে হবে।" সম্প্রতি, এই বিষয়ে একটি বৈঠকও করেন তিনি। জানা গিয়েছে, বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখতে তিনি বাহিনীর দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন।
সাইবার অপরাধ রুখতে লালবাজারের সাইবার থানাকে নিয়ে মোট ছ'টি শাখা গঠন করা হয়েছে। নগরপালের নির্দেশ অনুযায়ী, সাইবার থানার সঙ্গে রয়েছে অর্গানাইজড সাইবার ক্রাইম শাখা, সাইবার নিরাপত্তা এবং সাইবার সেফটি শাখা, সাইবার প্রতারণা রিকভারি শাখা, সাইবার ফরেন্সিক ল্যাব এবং সাইবার ক্রাইম কোঅর্ডিনেশন ও সাপোর্ট শাখা।
সংশ্লিষ্ট শাখাগুলি শুক্রবার থেকেই কাজ শুরু করে দিয়েছে। লালবাজার সূত্রে খবর, এই ছ'টি শাখা কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা প্রধানের অধীনে কাজ করবে। সাইবার থানায় ৭ জন ইনস্পেক্টর থাকবেন। তাঁদের সঙ্গে থাকবেন ১০ জন অফিসার এবং ২৫ জন কনস্টেবলও।
অন্যদিকে, অর্গানাইজড সাইবার ক্রাইম শাখায় আছেন ছ'জন ইনস্পেক্টর এবং ২৫ জন অফিসার। তাঁরা প্রয়োজনে স্পেশ্যাল অপারেশন গ্রুপ তৈরি করবেন। ওই গ্রুপ দ্রুত সাইবার অপরাধ চিহ্নিত করে তা ঠেকানোর কাজ করবেন। বাকি শাখাগুলির দায়িত্বে থাকছেন এক জন বা দু'জন করে ইনস্পেক্টর।
মোট কথা সাইবার জালিয়াতি ও অপরাধ রুখতে আঁটঘাট বেঁধে নামছে কলকাতা পুলিশ।