শেষ আপডেট: 13th November 2024 20:21
দ্য ওয়াল ব্যুরো: রাজ্যজুড়ে ট্যাব নিয়ে যে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে তাতে ইতিমধ্যে একাধিকজন গ্রেফতার হয়েছে। মালদহ এবং উত্তর দিনাজপুর থেকেই গ্রেফতারির সংখ্যা বেশি। বিগত কিছুদিন ধরে বেশ কয়েকটি জেলায় ট্যাবের টাকা নিয়ে সমস্যা দেখা গেছিল। তবে বাদ গেল না কলকাতাও। শহরেরও অন্তত ৫০০-র বেশি পড়ুয়া ট্যাবের টাকা পায়নি বলে অভিযোগ।
বুধবার ট্যাব কেলেঙ্কারির ঘটনায় আরও চারজন গ্রেফতার হয়েছে মালদহ থেকে। পরে উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া থেকে আরও দুজন গ্রেফতার হয়। বেহালাপ সুরশুনার একটি স্কুলের অনেক পড়ুয়া ট্যাবের টাকা পায়নি বলে অভিযোগ তুলেছিল। সেই প্রেক্ষিতেই তদন্ত শুরু হয়। তারপরই উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া থেকে দুজনকে পাকড়াও করেছে পুলিশ। এরই মধ্যে জানা গেছে ট্যাব কেলেঙ্কারির প্রভাব পড়েছে কলকাতাতেও।
শহরের কমপক্ষে ৮০টি স্কুলের ৫০০ পড়ুয়ার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সমস্যা দেখা দিয়েছে বলে সূত্রের খবর। কোনও ক্ষেত্রে অ্যাকাউন্ট নম্বরে ভুল ধরা পড়েছে, আবার কোথাও অজানা কারণে টাকা ঢোকেনি ব্যাঙ্কে। এই সমস্যার জন্য কলকাতার বেশ কয়েকটি থানায় ইতিমধ্যে অভিযোগও দায়ের হয়েছে।
রাজ্য সরকারের তরুণের স্বপ্ন প্রকল্পে স্কুলের একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের ট্যাব কেনার জন্য দশ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়। সেই জন্য পুজোর ছুটি পড়ার আগেই স্কুলের পক্ষ থেকে পোর্টালে আপলোড করা হয়। সর্বপ্রথম বর্ধমান শহরের সিএমএস হাইস্কুল থেকে ট্যাব নিয়ে অভিযোগ আসে। তারপরই বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে ধীরে ধীরে।
ট্যাব নিয়ে রাজ্যে প্রায় ২ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে সোমবার মূলত ৫টি জেলা পূর্ব মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমান, হুগলি, মালদহ এবং দক্ষিণ দিনাজপুরের স্কুল শিক্ষা আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করেন মুখ্যসচিব। বৈঠকে রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার ছাড়াও স্বরাষ্ট্রসচিব, শিক্ষাসচিব, প্রাক্তন শিক্ষাসচিব ছিলেন।
বৈঠকে পুলিশকে স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যারা এই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত তাদের দ্রুত ধরতে হবে এবং সঠিক তদন্ত করে বিষয়টির নিষ্পত্তি করতে হবে। এর পিছনে সত্যি যদি কোনও চক্র কাজ করে, তাহলে সেই চক্রে কারা জড়িত সেটাও তাড়াতাড়ি প্রকাশ্যে আনতে হবে পুলিশকে।