শেষ আপডেট: 12th August 2024 18:38
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আরজিকর কাণ্ডের প্রেক্ষিতে কলকাতায় এল জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রতিনিধিদল। আসার পরেই দুই প্রতিনিধি সোজা যান লালবাজারে। সেখানে পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে দেখা করেন তাঁরা, পুলিশ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকও করেন। জানা গেছে, লালবাজারের পরে আজই নিহত মহিলা চিকিৎসকের বাড়িতেও যাবেন কমিশনের ওই দুই প্রতিনিধি।
কমিশনের অন্যতম সদস্য ডেলিনা খনড়ুপ জানান, তাঁরা এই নৃশংস ঘটনার তদন্তের গতিপ্রকৃতি ভাল করে খতিয়ে দেখবেন। পাশাপাশি রাজ্যের গোটা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে কমিশনকে জানাবেন বলেও জানান তিনি।
জানা গেছে, আগামী কাল অর্থাৎ মঙ্গলবার আরজি কর হাসপাতালেও যাবেন জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রতিনিধিরা। এর পরেই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট তৈরি করে তাঁরা জাতীয় মহিলা কমিশনে জমা দেবেন। শুধু তাই নয়, প্রয়োজন হলে আরও অতিরিক্ত দিন থেকে, গোটা ঘটনা তাঁরা সবদিক থেকে খতিয়ে দেখবেন বলেও জানা গিয়েছে।
মহিলা কমিশনের এই অতিসক্রিয়তার পরেই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে আরও বেশি করে প্রশ্ন উঠছে আরজি কর কাণ্ডে। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন মহল থেকে দাবি করা হয়েছে, আসল অপরাধীকে আড়াল করছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, আজই জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা শর্মার বিরুদ্ধে কড়া মন্তব্য করেছেন রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা। তিনি বলেন, 'আপনি পক্ষপাতদুষ্ট। আপনি বিজেপির বিরোধী সরকার থাকা রাজ্যগুলিতে হেনস্থা করেছেন। বিজেপি-শাসিত রাজ্যে আপনি তাকাতেন না। সন্দেশখালির মহিলাদের ইজ্জত ২০০০ টাকায় বিক্রি করার চক্রান্তে আপনিও শামিল ছিলেন। আপনার মেয়াদে মণিপুর হয়েছে। আপনি তাঁদের পাশে দাঁড়াননি। আপনি নারী নিরাপত্তা নিয়ে কোনও কথা বলবেন না।'
অন্যদিকে, আজ, সোমবারই মৃত ডাক্তারি পড়ুয়ার বাবা-মায়ের সঙ্গে দেখা করার পরে সোদপুরে দাঁড়িয়ে বলেন, "ওখানে তো নিরাপত্তারক্ষীরা-সহ বাকিরাও ছিলেন। তার মাঝে কীভাবে এঘটনা ঘটল? মেয়েটির বাবাও বলেছে, ভেতরের কেউ আছে। আমি পুলিশকে বলেছি যদি ভেতরের কেউ থাকে, তাহলে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে হবে। কাউকে ছাড়া হবে না।"
সূত্রের খবর, ঘটনার পর পুলিশ যেভাবে আত্মহত্যার কথা বলেছিল, তা নিয়ে এদিন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করেন নিহত ছাত্রীর বাবা-মা। জানা যাচ্ছে, তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীকে বলেন, মেয়ের রক্তমাখা দেহ দেখেও পুলিশ ময়নাতদন্তের আগেই কেন বলেছিল, যে এটি আত্মহত্যার ঘটনা। জানা যাচ্ছে, এরপরই পরিবারকে মুখ্যমন্ত্রী আশ্বস্ত করেন, পুলিশ দ্রুত বাকি অপরাধীদের ধরতে না পারলে সিবিআইয়ের হাতে তদন্তভার তুলে দেওয়া হবে।