শেষ আপডেট: 12th August 2024 19:55
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আন্দোলনের মুখে সকালেই পদত্যাগ করেছিলেন আরজি কর হাসপাতালের অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। কিন্তু একবেলার মধ্যে, সোমবার বিকেলেই তাঁকে বহাল করা হয় চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষর পদে। প্রতিবাদে খেপে উঠলেন সেখানকার পড়ুয়ারা। জানা গেছে, সন্দীপ ঘোষ বহাল হওয়ার খবর পেতেই হাসপাতালের প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন তাঁরা। স্পষ্ট জানিয়েছেন, অধ্যক্ষ হিসেবে তাঁরা কোনওমতেই মানবেন না অভিযুক্ত সন্দীপ ঘোষকে।
পড়ুয়াদের লাগাতার আন্দোলনের মুখে সোমবার সকালে স্বাস্থ্য ভবনে গিয়ে পদত্যাগপত্র দিয়ে এসেছিলেন আরজিকর মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। তিনি বলেন, "আমি কোনও চাপের মুখে পদত্যাগ করছি না। আমি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করছি। যে মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে তার অভিঘাতে আমি বিপর্যস্ত। শুধু একজন শিক্ষক হিসেবে নয়, একজন বাবা হিসেবেও কিছুতেই এটা মানতে পারছি না।"
একইসঙ্গে তিনি অভিযোগ করেন, তাঁর মুখে কথা বসিয়ে কিছু স্বার্থান্বেষী মানুষ রাজনৈতিক খেলায় নেমেছেন। এটা বুঝতে পেরে আরও মর্মাহত তিনি। এদিন সকালে প্রতিদিনের মতোই দফতরে আসেন ডাঃ সন্দীপ ঘোষ। কিছুক্ষণ পরে সাংবাদিকদের সামনে এসে নিজের পদত্যাগের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেন। পরে স্বাস্থ্যভবনে গিয়ে তাঁর পদত্যাগ পত্র জমা দেন।
এর পরে বিকেলেই ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে প্রিন্সিপালের দায়িত্ব বহাল করা হয়েছে তাঁকে। এদিন সন্ধেয় নতুন করে এই বিজ্ঞপ্তি জারির পরেই আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের কুশপুতুল পোড়ান আন্দোলনরত ডাক্তাররা।
প্রসঙ্গত, আজই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় বলেছিলেন, "উনি (সন্দীপ ঘোষ) জানিয়েছেন, মানসিকভাবে খুবই বিপর্যস্ত। আরজিকরের প্রিন্সিপালের পদ থেকে পদত্যাগ করতে চান। ওঁকে আমরা অন্য কোথাও পাঠাব।"
এরপরেই কলকাতা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ পদে বহাল করা হয় তাঁকে। অন্যদিকে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপালের দায়িত্ব দেওয়া হয় ডাক্তার সুহৃতা পালকে।