শেষ আপডেট: 10th August 2024 14:22
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আরজিকরে ডাক্তারি পড়ুয়াকে খুনের ঘটনায় অপরাধীর সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা্ করা হবে বলে আশ্বাস দিলেন পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল।
পুলিশ কর্তা জানান, হেডফোনের ছেঁড়া তারের সূত্র ধরেই অপরাধীর নাগাল পেয়েছেন তদন্তকারীরা। জেরায় অপরাধের কথা ধৃত স্বীকারও করেছে।
ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সংবাদিক বৈঠক করে বিনীত গোয়েল বলেন, "ওই ব্যক্তির হাসপাতালে যাতায়াত ছিল। ঘটনায় আর কেউ জড়িত রয়েছে কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ধৃতর বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যয় সংহিতা আইনে খুন ও ধর্ষণের ধারা যুক্ত করা হয়েছে।"
প্রসঙ্গত, আরজিকরে ডিউটিরত ডাক্তারি ছাত্রীকে খুনের ঘটনায় ইতিমধ্যে কড়া বার্তা শুনিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রয়োজনে ফাস্ট ট্র্যাক আদালতে মামলার দ্রুত শুনানি চেয়ে অপরাধীর ফাঁসির সাজা চাওয়া উচিত বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "আমি ব্যক্তিগতভাবে ফাঁসির বিরোধী। তবু অপরাধীদের বার্তা দিতে কোনও কোনও ক্ষেত্রে ফাঁসির শাস্তি জরুরি।"
পুলিশ কমিশনারও এদিন দুপুরে সাংবাদিক বৈঠকে জানান, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় টালা থানায় ফোন আসে। তারপর থেকে দিন এবং রাতভর দফায় দফায় তদন্ত চলছে।
পরিবার এবং জুনিয়র চিকিৎসক ও ডাক্তারি পড়ুয়াদের একাংশের তরফে তদন্তে পুলিশের অতিসক্রিয়তা নিয়ে যে প্রশ্ন তোলা হয়েছিল, প্রকারন্তরে তাও খারিজ করে দিয়েছেন সিপি। বিনীত গোয়েল বলেন, "৩ জন চিকিৎসককে নিয়ে বিশেষ মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করে ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। পুরো বিষয়টির ভিডিওগ্রাফিও করা হয়েছে। এটা একটা তদন্ত প্রক্রিয়া। আমাদের অফিসাররা রাতভর তদন্ত করেছেন। তারই ভিত্তিতে মূল অপরাধীকে ধরা হয়েছে। ঘটনায় আর কে বা কারা জড়িত, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।"
হাসপাতালের নিরাপত্তা গাফিলতি ছিল কিনা তদন্তে সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সিপি।