ধৃত ফাল্গুনী ঘোষ ও তাঁর মা আরতি ঘোষ
শেষ আপডেট: 25 February 2025 13:31
দ্য ওয়াল ব্যুরো: কলকাতার কুমোরটুলি (Kumartuli Case) ঘাটে দুই মহিলা ভারী একটি ট্রলিব্যাগ (Trolly Bag) নিয়ে গঙ্গার কাছে যাচ্ছিলেন। যা দেখে স্থানীয়দের খটকা লাগে। এক মহিলা প্রশ্ন করতেই পাল্টা উত্তর আসে ব্যাগে তাঁদের কুকুরের দেহ রয়েছে, সেই দেহই গঙ্গায় ফেলতে এসেছেন তাঁরা। কথায় অসঙ্গতি মেলায় আশেপাশের লোকজন এসে নীল রঙের ওই ট্রলি ব্যাগ খুলতেই ভেতরে দেখা যায় টুকরো টুকরো দেহ (Dead Body)। কাছেই সুতানুটি থানার আউট পোস্টে খবর দেওয়া হলে পুলিশ এসে দুই মহিলাকে ভ্যানে তোলে। বাজেয়াপ্ত করা হয় নীল ট্রলিব্যাগ।
প্রথমে দুই মহিলা মানতে না চাইলেও ব্যাগ খুলতেই সবটা স্পষ্ট হয়ে যায়। উদ্ধার হয় এক মহিলার খণ্ড খণ্ড দেহ। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। থানায় নিয়ে গিয়ে ওই মহিলাদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে জানা যায় ধৃতরা হলেন ফাল্গুনী ঘোষ ও তাঁর মা আরতি ঘোষ। যে মহিলার দেহ মিলেছে তিনি সম্পর্কে ফাল্গুনী ঘোষের পিসিশাশুড়ি।
মঙ্গলবার ঘটনার সূত্রপাত সকাল ৭টার আশেপাশে। স্থানীয়রা যখন মা-মেয়েকে পাকড়াও করে তখন তাঁদের কাছে একটি ট্রেনের টিকিট পাওয়া যায়। খতিয়ে দেখে জানা যায়, উত্তর ২৪ পরগনার কাজীপাড়া থেকে কলকাতার পার্ক সার্কাস পর্যন্ত ট্রেনে আসার টিকিট কেটেছিলেন তাঁরা। মনে করা হচ্ছে, ওই ট্রলিব্যাগ নিয়েই দু'জন ট্রেনে ওঠেন। দেহ কোথায় ফেলবে ভেবে প্রথমে প্রিন্সেপ ঘাট, এদিক সেদিক ঘুরে আহিরীটোলা ঘাটে আসেন। তারপর নির্জন এলাকা দেখে কুমোরটুলি ঘাটে দেহ ফেলে তথ্য-প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করেন তাঁরা।
পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। টুকরো দেহ ইতিমধ্যেই ময়নাতদন্তের জন্য আরজি কর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। প্রাথমিক রিপোর্ট হাতে এলেই কীভাবে খুন করা হয়েছে সবিস্তারে জানা যাবে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা।
প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, মধ্যমগ্রামের একটি ভাড়া বাড়িতে ওই ঘটনাটি ঘটে। সেখানেই থাকতেন ফাল্গুনী এবং আরতি ঘোষ। জয়েন্ট সিপি ক্রাইম রুপেশ কুমার জানিয়েছেন, "সুমিতা ঘোষকে খুন করা হয়েছে। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানার চেষ্টা করা হচ্ছে ঠিক কী কারণে এহেন কাণ্ড ঘটালেন তাঁরা"।