শেষ আপডেট: 14th March 2025 16:14
দ্য ওয়াল ব্যুরো: জাল পাসপোর্ট (Fake Passport) কাণ্ডের তদন্তে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। খাস কলকাতাতেই (Kolkata) ১০০-র বেশি ভুয়ো পাসপোর্ট তৈরি হয়েছে বলে দাবি করেছেন তদন্তকারীরা। আর এসব পাসপোর্ট যারা বানিয়েছেন তাদের বেশিরভাগ বাংলাদেশি (Bangladeshi)। যদিও কাউকেই এখনও গ্রেফতার করা যায়নি।
কলকাতার আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস থেকে তৈরি হয়েছিল ১৩০টি পাসপোর্ট। এই পাসপোর্টগুলির মধ্যে ১২০টির 'মালিক' বাংলাদেশি নাগরিক। সম্প্রতি এমন তথ্যই প্রকাশ্য এসেছে। যদিও এখনও পর্যন্ত এদের কাউকে ধরতে পারেনি তদন্তকারীরা। তবে তাঁদের তদন্তে উঠে এসেছে, কলকাতা লাগোয়া কোনও অঞ্চল থেকে একটি চক্র ভুয়ো পাসপোর্ট বানানোর কাজ করে। জাল নথি তৈরি করানো থেকে পুলিশ ভেরিফিকেশন, সব কিছুর জন্য রয়েছে আলাদা আলাদা দর।
জানা গেছে, এই চক্রের সঙ্গে যোগাযোগ করেই একাধিক বাংলাদেশি জাল পাসপোর্ট বানিয়েছেন। তবে তাঁরা যোগাযোগ ঠিক কার সঙ্গে করেছিলেন, কত টাকা লেগেছিল, পাসপোর্ট পেলেন কীভাবে, সেইসব তথ্য এখনও হাতে আসেনি পুলিশের। যদিও পাসপোর্ট জালিয়াতি কাণ্ডে ইতিমধ্যে একাধিক গ্রেফতারি হয়েছে। পুলিশের জালে উঠে এসেছে কলকাতা পুলিশের প্রাক্তন এসআই থেকে শুরু করে রাজ্যে পুলিশের হোমগার্ড। এই তদন্তে তৎপরতা দেখাচ্ছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ইডিও। তাদের সন্দেহ, ভুয়ো পাসপোর্ট কাণ্ডে কয়েক কোটি টাকার আর্থিক লেনদেন হয়েছে।
জালিয়াতি চক্রের কিংপিন মনোজ গুপ্তর সঙ্গে পুলিশের প্রাক্তন কর্মীর যোগসূত্রের স্পষ্ট ইঙ্গিত পেয়েছে পুলিশ। তবে ইডি মনে করছে, শুধুমাত্র তিনি নন, পুলিশের অনেক নীচুতলার একাধিক কর্মী এই কাণ্ডে যুক্ত থাকতে পারে। তাদের মধ্যে কয়েক কোটি টাকার লেনদেন হওয়ার সম্ভাবনাও প্রবল।
প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে, চক্রের কিংপিনের সঙ্গে পুলিশের ওই প্রাক্তন সাব ইন্সপেক্টর আবদুল হাই মিলিত হয়ে কমপক্ষে ২৫০টি জাল পাসপোর্ট তৈরি করেছিল। তার মধ্যে অন্তত ৫৩টির নথি ভেরিফিকেশন করেছিলেন খোদ আবদুল হাই। অনুমান, এই প্রাক্তন পুলিশ কর্মী ছাড়াও পুলিশের আরও অনেকে এই চক্রে জড়িত। সকলের মধ্যেই অর্থ লেনদেন হয়েছে। সেই লেনদেনের পরিমাণ কত, সেই টাকা কতজন পেয়েছেন, তা জানতেই তৎপর ইডি।