শেষ আপডেট: 9th October 2024 18:01
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদে জুনিয়র ডাক্তাররা অনশনে বসেছেন। তাঁদের সমর্থনে একে একে গণইস্তফা দিয়েছেন হাসপাতালের অন্তত ৭০ জন সিনিয়র ডাক্তার। তবে শুধু আরজি কর নয়, জেলার একাধিক হাসপাতালের সিনিয়র ডাক্তাররা ইতিমধ্যে একই পদক্ষেপ নিয়েছেন। এ বার ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের সিনিয়র ডাক্তাররাও ‘গণইস্তফা’ দিলেন। একই সিদ্ধান্ত নিতে চলেছেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আরও দুই হাসপাতালের সিনিয়র ডাক্তাররা।
ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ থেকে কমপক্ষে ৩৪ জন সিনিয়র ডাক্তার বুধবার ‘গণইস্তফা' দিয়েছেন বলে সূত্রের খবর। এর পাশাপাশি এনআরএস মেডিক্যাল কলেজের তরফে সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা হয়েছে, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পদক্ষেপ না নিলে তাঁরাও এই পথে হাঁটবে। অন্যদিকে, সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজের ডাক্তাররাও 'গণইস্তফার' হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
মঙ্গলবার আরজি কর হাসপাতালেরা একাধিক সিনিয়র ডাক্তাররা ‘গণইস্তফা’ দেওয়ার পর থেকেই কলকাতার গণ্ডি ছাড়িয়ে জেলাগুলিতেও এই পদক্ষেপ বেড়েছে। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে বুধবার অন্তত ৫০ জন সিনিয়র ডাক্তার ‘গণইস্তফা’ দিয়েছেন। জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজের সিনিয়র ডাক্তাররাও একই পথে হেঁটেছেন। এবার কলকাতার আরও মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতাল থেকে এল হুঁশিয়ারি। স্বাভাবিকভাবেই চাপ বাড়ছে রাজ্য সরকারের।
গত শনিবার থেকে ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্ট’-এর সাত জন প্রতিনিধি ১০ দফা দাবিতে আমরণ অনশন করছেন ধর্মতলায়। তাঁদের অনশনে সামিল হয়ে ইতিমধ্যে একাধিক সিনিয়র ডাক্তার 'প্রতীকী অনশন'ও করেছেন ১২ ঘণ্টার। তবে যে গণইস্তফার সংখ্যা বেড়েছে তা দেখে অনেকেই শঙ্কিত হচ্ছেন। মনে করা হচ্ছে, সরকারি স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় বড় প্রভাব পড়বে। যদিও রাজ্য সরকার এই বিষয়টিকে 'ইস্তফা' মানতে রাজি নয়। প্রশাসন সূত্রে খবর, এইভাবে কখনও ইস্তফা দেওয়া যায় না। তার একটা নির্দিষ্ট নিয়ম আছে।
এক সিনিয়র চিকিৎসকের কথায়, এই ধরনের প্রতীকী গণ ইস্তফা আগেও হয়েছে। এসব ক্ষেত্রে সাধারণত পদত্যাগপত্র পরপর জমা দিয়ে সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করা হয়।