শেষ আপডেট: 15th January 2025 16:45
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বাঘাযতীনের হেলে পড়া বহুতল ভাঙার কাজ মঙ্গলবার রাত থেকেই শুরু হয়েছে। এই ঘটনায় প্রমোটারের দিকে অভিযোগের আঙুল উঠলেও স্থানীয় সূত্রে যা খবর তাতে বলা যায়, তাঁর দোষ ছিল না। জল জমার সমস্যা দূর করতে হাইড্রোলিক জ্যাক দিয়ে বাড়িটি উঁচু করা হচ্ছিল। তার জেরে বাড়িটির গ্রাউন্ড ফ্লোরের চাঙড় উঠে যায়। ফলে এই বিপত্তি। তবে বাড়িটি তৈরির কোনও অনুমোদন ছিল কিনা তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন ৯৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা যাদবপুরের বিধায়ক দেবব্রত মজুমদার।
মঙ্গলবার রাতের পর বুধবার সকাল থেকে ফের হেলে পড়া ফ্ল্যাটবাড়ি ভাঙার কাজ চলছে। কেন এমন ঘটনা ঘটল তার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে দেবব্রত মজুমদার বলেন, “এই বাড়ির আদৌ কোনও অনুমোদন প্রাপ্ত প্ল্যান রয়েছে কিনা আমার সন্দেহ আছে। সম্প্রতি হরিয়ানার এক সংস্থার সাহায্যে বাড়িটি লিফট করার চেষ্টা চলছিল। এই ধরনের কাজের ক্ষেত্রে অনুমতি নিতে হয়। সেই অনুমতিও নেওয়া হয়নি।”
তা হলে পুরসভা কেন কোনও পদক্ষেপ করেনি? দেবব্রতর উত্তর, “কলোনি এলাকায় কোনও ফ্ল্যাট-বাড়িরই অনুমোদন নেই। সিপিএম আমলে এমন অনেক বাড়িই তৈরি হয়েছিল। আর বাড়িটিতে যে কাজ করা হচ্ছিল সেই বিষয়ে জানতেনই না স্থানীয় কাউন্সিলর বা পুরসভার কেউ। কাউকে না জানিয়ে এই কাজ করা হচ্ছিল।’’
স্থানীয়দের একাংশের দাবি, মাসখানেক আগে ওই ফ্ল্যাটবাড়িতে ফাটল দেখা দিয়েছিল। তারপর থেকেই বিপজ্জনকভাবে হেলে পড়েছিল বাড়িটি। বাসিন্দাদের অভিযোগ, ১০-১২ বছর আগে জলাভূমি ভরাট করে বেআইনি ভাবে ওই বহুতল নির্মাণ করা হয়েছিল। চারতলা বাড়ি নির্মাণের অনুমোদনও ছিল না বলে অভিযোগ করেছেন তাঁরা।
সূত্রের খবর, হাইড্রলিক জ্যাক দিয়ে বাড়িটি উঁচু করার জন্য ১৮ লক্ষ টাকা খরচ ধরা হয়েছিল। তবে এ ব্যাপারে পুরসভার কোনও অনুমতি নেওয়া হয়নি। ফলে ওই বাড়ির বাসিন্দাদের বিরুদ্ধে এবার পুরসভা ব্যবস্থা নিতে পারে। ফৌজদারি মামলাও দায়ের করা হতে পারে। ঘটনার পর থেকেই ওই বহুতলের প্রোমোটার সুভাষ রায় ফেরার। তাঁর খোঁজ চলছে।
বাঘাযতীনের বিস্তীর্ণ এলাকা একদা জলাজমি ছিল। সেখানে পুকুর বা জলাজমি ভরাট করে প্রমোটারির ডজন ডজন অভিযোগ রয়েছে। তাই প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছিল, প্রমোটার পাইলিংয়ের কাজ ভাল করে করেনি। বা কমদামি কিংবা নিকৃষ্টমানের সামগ্রী দিয়ে এই বহুতল তৈরি করেছিলেন। কিন্তু ক্রমশ প্রকৃত ঘটনা সামনে আসে।