শেষ আপডেট: 29th July 2024 23:30
দ্য ওয়াল ব্যুরো: নাবালিকা মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক মেনে নেননি মা। কিশোর প্রেমিকের সঙ্গে মেয়ের মেলামেশা পছন্দ করতেন না তিনি। প্রায়ই এই নিয়ে বাবা-মায়ের সঙ্গে মেয়ের ঝগড়া-অশান্তি লেগে থাকত। কিন্তু তার পরিণতি যে এত নির্মম হবে তা কেউ কল্পনাও করতে পারেননি। প্রেমে বাধা দেওয়ায় প্রেমিকের সঙ্গে যোগসাজেশ করে বাবার সামনেই মা-কে খুন করে মেয়ে। কলকাতার ঠাকুরপুকুরের ঘটনাটিতে তীব্র চাঞ্চল্য রয়েছে।
এখানেই শেষ নয়, মায়ের স্বাভাবিক মৃত্যুর সার্টিফিকেট জোগাড় করে দেহ সত্কারও করে ফেলে অভিযুক্তেরা। এমনকী বিষয়টি নিয়ে মুখ বন্ধ রাখার জন্য বাবাকে প্রাণনাশের হুমকিও দেয় তারা!
অভিযুক্তের বয়স মোটে ১৪ বছর। ঠাকুরপুকুরের পল্লিমঙ্গল এলাকায় বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকত নাবালিকা। ফেসবুকে ১৫ বছরের এক কিশোরের সঙ্গে তার আলাপ হয়েছিল। বছর তিনেক ধরে তাঁদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। কিন্তু নাবালিকা মেয়ের এই সম্পর্ক মেনে নিতে পারছিলেন না বাবা-মা। মা বেশি আপত্তি করায় তাঁকে খুনের পরিকল্পনা করে প্রেমিক যুগল।
পুলিশ সূত্রের খবর, গত ৬ জুন রাতে প্রেমিককে বাড়িতে ডাকে ওই নাবালিকা। এরপর তাকে সঙ্গে নিয়ে ঘুমন্ত অবস্থায় মা-কে গলা টিপে খুন করে সে। এদিকে ততক্ষণে জেগে গিয়েছেন বাবা। ধাক্কা দিয়ে বাবাকে বিছানা থেকে ফেলে দেয় মেয়ে। ঘটনার কথা কাউকে বললে তাঁকেও খুন করা হবে, প্রেমিকের সঙ্গে এমন হুমকিও দেয় মেয়ে!
পরদিন সকালে স্থানীয় এক চিকিত্সকের সঙ্গে যোগাযোগ করে স্বাভাবিক মৃত্যুর সার্টিফিকেটও জোগাড় করে ফেলে অভিযুক্তরা। সেই সার্টিফিকেটে দেখিয়ে দেহ সত্কারও করে দেওয়া হয়। প্রতিবেশী থেকে পরিজন সকলেই ভেবেছিলেন, ওই মহিলার স্বাভাবিকভাবে মৃত্যু হয়েছে।
শেষমেশ প্রায় ২ মাস পর গতকাল রবিবার এক প্রতিবেশীকে গোটা ঘটনাটি জানান মৃতার স্বামী। এরপরই তদন্তে নামে পুলিশ। ইতিমধ্যে নাবালক প্রেমিক যুগল এবং যে চিকিত্সক তাদের স্বাভাবিক মৃত্যুর সার্টিফিকেট দিয়েছিলেন, তাঁকেও আটক করা হয়েছে। জেরায় নিজেদের অপরাধের কথা স্বীকার করে অভিযুক্তেরা।