শেষ আপডেট: 24th August 2024 20:11
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আরজি কর হাসপাতালের ঘটনার প্রতিবাদে গত ১৪ অগস্ট রাতে মহিলারা নেমেছিলেন আন্দোলনে। 'রাত দখল'-এর সেই কর্মসূচিতে আরজি কর হাসপাতালে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়। সেই ঘটনায় মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়-সহ সাত বাম নেতানেত্রীকে তলব করেছিল লালবাজার। শনিবার সেই তলবে সাড়া দিয়ে হাজিরা দিয়েছিলেন মীনাক্ষীরা। পরে লালবাজার থেকে বেরিয়ে এসে পুলিশকে তুলোধনা করলেন তাঁরা।
লালবাজার থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ডিওয়াইএফআই নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় বলেন, ''হয়রান করার জন্য দিনের পর দিন কেজি দরে নোটিস পাঠাচ্ছে। কারা ভাঙল তাঁদের ছবি থাকা সত্ত্বেও পুলিশ কড়া শাস্তি দিতে দীর্ঘ টালবাহানা করছে। এদিকে প্রতিবাদীরা যাতে আরজি করের বিচার চেয়ে পথে না নামে তার জন্য পুলিশি দমনের চেষ্টা হচ্ছে।'' মীনাক্ষী জানান, এদিন পুলিশকে স্পষ্ট জানানো হয়েছে যে, তাঁরা দোষীদের শাস্তি দেওয়ার জন্য সাহায্য করতে এসেছেন। একই সঙ্গে তাঁর হুঁশিয়ারি, পুলিশকে হয়রানি বন্ধ করতে হবে।
পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সরব হয়ে মীনাক্ষী আরও বলেন, আরজি করে যে ঘটনা ঘটেছে তার দোষীদের শাস্তির দাবিতেই রাজ্যের মানুষ পথে নেমেছে। পুলিশ উচিত দোষীদের শাস্তি দেওয়া, আরজি করে যে দুর্নীতি হয়েছে তার দোষীদের ধরা, স্বাস্থ্য দুর্নীতি শেষ করা, মানুষ পুলিশকে সাহায্য করবে। কিন্তু পুলিশ অপরাধীদের আড়াল করতে প্রতিবাদীদের হয়রান করছে, এমনই দাবি মীনাক্ষীর। পাশাপাশি রাজ্যের পুলিশমন্ত্রী, স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং পুলিশ কমিশনারের পদত্যাগ দাবি করেছেন তাঁরা।
ডাক্তারদের আন্দোলন চলাকালীন ১৪ অগস্ট রাতে একদল দুষ্কৃতী ঢুকে পড়ে আরজি কর হাসপাতালে। পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে জরুরি বিভাগে ঢুকে তছনছ করে দেয় তারা। ভাঙচুর করে দামি মেশিন। নষ্ট করে দেয় বহুমূল্য ওষুধ। বাধা দিতে গিয়ে আক্রান্ত হন পুলিশকর্মীরা। আহত বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে ভর্তি করতে হয় কলকাতা পুলিশের ডিসি নর্থকে। কিন্তু এই ঘটনা আদতে পুলিশি ব্যর্থতা বলেই দাবি করছেন মীনাক্ষীরা। তাঁর স্পষ্ট কথা, যে পুলিশমন্ত্রী, পুলিশ কমিশনার একটা দুষ্কৃতীদের দলকে রুখতে পারে না, তাঁদের পদত্যাগ করতেই হবে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য এই ঘটনার দায় বাম ও বিজেপি কর্মীদের উপর চাপিয়েছেন। রাজ্যে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরির জন্যই এই পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। তারপরেই তলব করা হয় এসএফআই ও ডিওয়াইএফআইয়ের সাতজন নেতাকে।